মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ০৯:৫৫:১০

ট্রাম্পের ওপর এবার খেপেছে যুক্তরাষ্ট্রের খামারিরা

ট্রাম্পের ওপর এবার খেপেছে যুক্তরাষ্ট্রের খামারিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর জনরোষ দিনদিন আরও তীব্র হচ্ছে। দিনকয়েক (শনিবার) আগেই দেশটির ৫০ অঙ্গরাজ্যে ‘নো কিংস’ আন্দোলনে মাঠে নামেন বিক্ষোভকারীরা। প্রায় ৭০ লাখ মানুষের ট্রাম্পবিরোধী স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের রাজপথ। 

সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ট্রাম্পবিরোধী গুঞ্জন শুরু হয়েছে দেশটির খামার সমাজেও। আর্জেন্টিনা থেকে গরুর মাংস আমদানির আরেক একগুঁয়ে সিদ্ধান্তেই ট্রাম্পের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন তারা। 

সোমবার ন্যাশনাল ক্যাটলম্যানস বিফ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী কলিন উডঅল বলেন, ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা পশুপালন খাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। সাম্প্রতিক সময় গরুর মাংসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এ কারণেই মিত্রদেশ আর্জেন্টিনার কাছ থেকে মাংস আমদানির কথা ভাবছে ট্রাম্প। 

রোববার রাতে প্রেসিডেনশিয়াল উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা যদি আর্জেন্টিনা থেকে অল্প পরিমাণ গরুর মাংস কিনি, তাহলে তাদের অনেক সুবিধা হবে।’ কিন্তু কলিন উডঅলের মতে, মাংস আমদানি দাম কমাতে কোনো ভূমিকা রাখবে না। 

ট্রাম্পের এই পরিকল্পনার কারণে মার্কিন খামারিরা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। মন্টানার খামারি জ্যান ম্যাকডোনাল্ড তার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি এই সপ্তাহে বাছুর বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনায় আমি ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।’ 

এর আগে মার্কিন প্রশাসন আর্জেন্টিনাকে ২০ বিলিয়ন ডলারের মুদ্রা-বিনিময় সহায়তা দিয়েছিল। তখন চীন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তে আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন কেনা শুরু করে। ওই অর্থনৈতিক সহায়তার চুক্তি দেওয়ায়ও সেসময়ও ক্ষুব্ধ ছিলেন মার্কিন কৃষকরা। 

বেইজিংয়ের কাছে সয়াবিন রপ্তানির প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনার কাছে ওয়াশিংটন পিছিয়ে পড়েছে। এসব প্রসঙ্গ টেনে ন্যাশনাল ফার্মার্স ইউনিয়নের সভাপতি রব লারিউ বলেন, ‘এখন আবার মাংস আমদানি করে তাদের পুরস্কৃত করা একেবারেই উচিত নয়।’ 

মার্কিন অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, এভাবে আমদানি করে গরুর মাংসের দাম কমবে না। তারা বলেছেন, আর্জেন্টিনা থেকে বাড়তি মাংস আমদানি যুক্তরাষ্ট্রে দামের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না। কারণ দেশটি গত বছর মার্কিন আমদানির মাত্র দুই শতাংশ সরবরাহ করেছিল। তারা সতর্ক করেছেন, বিদেশি মাংসের বাড়তি আমদানিতে স্থানীয় খামারিরা উৎপাদন বৃদ্ধির উৎসাহ হারাতে পারেন। সূত্র: রয়টার্স

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে