শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ০৬:২৮:৩৭

যুক্তরাষ্ট্রে ১ মাস ধরে চলছে শাটডাউন, ট্রাম্পকে দায়ী মনে করছেন মার্কিনিরা

যুক্তরাষ্ট্রে ১ মাস ধরে চলছে শাটডাউন, ট্রাম্পকে দায়ী মনে করছেন মার্কিনিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে টানা এক মাস ধরে চলা সরকারি শাটডাউনের (অচলাবস্থা) জন্য মূলত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্যদেরই দায়ী করছেন অধিকাংশ মার্কিনি নাগরিক।

ওয়াশিংটন পোস্ট, এবিসি নিউজ ও ইপসস পরিচালিত সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ৪৫ শতাংশ মার্কিন নাগরিক ট্রাম্প ও তার দল রিপাবলিকান পার্টিকেই দায়ী করছেন। অন্যদিকে ৩৩ শতাংশ নাগরিক শাটডাউনের জন্য ডেমোক্র্যাটদের দোষ দিচ্ছেন।

জরিপে দেখা গেছে, সরকারি অচলাবস্থা দীর্ঘায়িত হওয়ায় সাধারণ মানুষের উদ্বেগও বাড়ছে। তিন-চতুর্থাংশ মার্কিনি নাগরিক জানিয়েছেন, তারা ‘খুবই’ বা ‘কিছুটা’ উদ্বিগ্ন এই পরিস্থিতি নিয়ে। নিম্নআয়ের পরিবার ও ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের মধ্যেই উদ্বেগের মাত্রা সবচেয়ে বেশি।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেডারেল সরকারের হাজার হাজার কর্মচারী ইতিমধ্যে বেতনহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি বহু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মসূচিও স্থবির হয়ে আছে।

গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সরকারি অচলাবস্থার সূত্রপাত হয় তহবিলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর, যখন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ (এসিএ) নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। ডেমোক্র্যাটরা স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনার জন্য নতুন ভর্তুকি দাবি করলেও, রিপাবলিকানরা প্রথমে বিস্তৃত ব্যয়বিধি বিল পাশের ওপর জোর দেন।

সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চার্লস শুমার ট্রাম্পকে রাজনৈতিক তামাশার দায়ে অভিযুক্ত করে বলেন, আমেরিকানরা নিজেদের চোখে দেখছে ট্রাম্প কী করছেন… এই শাটডাউনের দায় একান্তই ডোনাল্ড ট্রাম্পের এবং জনগণ তা জানে।

অন্যদিকে রিপাবলিকান সিনেটর জন বারাসো পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আমেরিকান জনগণ ডেমোক্র্যাটদের এই বিপজ্জনক রাজনৈতিক খেলা দেখে ক্লান্ত। তারা সরকারের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে জিম্মি করে রেখেছে।

২,৭২৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিনি নাগরিকের ওপর পরিচালিত অনলাইন জরিপটি অনুষ্ঠিত হয় ২৪ থেকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি এই অচলাবস্থা ৫ নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে, তবে এটি হবে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সরকারি শাটডাউন। সূত্র: আনাদোলু

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে