২০২৬ সালের শরতেই বাজারে আসতে পারে অ্যাপলের সবচেয়ে পাতলা ফোনের দ্বিতীয় সংস্করণ, আইফোন এয়ার ২।
ফোনটি বাজারে আসতে অনেক দেরি হতে পারে বলে গুঞ্জন ছিল। আগের বিভিন্ন খবরে আভাস মিলেছিল অ্যাপলের আসন্ন পণ্যের তালিকা থেকে এই দ্বিতীয় প্রজন্মের মডেলটিকে পুরোপুরি বাদ দিয়েছে কোম্পানিটি।
কিছু সূত্রের দাবি ছিল, ২০২৭ সালের আগে ফোনটি বাজারে আসার কোনো সম্ভাবনাই নেই।
সেইসব খবরে আইফোন এয়ার-কে কোম্পানিটির জন্য ‘সংকটাপন্ন প্রজেক্ট’ হিসেবে তুলে ধরেছিল। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, প্রথম মডেলটির আশানুরূপ বিক্রি না হওয়া ও পরবর্তী মডেল তৈরির আগে নকশা ও সময় নিয়ে অ্যাপলের নতুন করে ভাববার সিদ্ধান্তের কথা।
তবে সেই অনিশ্চয়তাকে উড়িয়ে দিয়েছে প্রযুক্তি সাইট নাইনটুফাইভ-এর নতুন প্রতিবেদন।
নাইনটুফাইভ ম্যাক-এর নতুন তথ্য বলছে, অ্যাপল সম্ভবত তাদের আগের পরিকল্পনাতেই অটল থাকছে। নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ীই কাজ করছে ও খুব শিগগিরই বাজারে আসতে পারে আইফোন এয়ার ২।
তথ্য ফাঁসকারী সাইট ‘ফিক্সড ফোকাস ডিজিটাল’-এর নতুন তথ্য অনুসারে, ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে অ্যাপল ইভেন্টেই উন্মোচিত হবে আইফোন এয়ার ২।
অতি-পাতলা ফোনের বাজারে নানা চ্যালেঞ্জ থাকার পরও নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছে অ্যাপল। বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মূল আইফোন এয়ারের বিক্রি খুব একটা ভালো হয়নি।
তবে অ্যাপলের অন্দরে অনেকটা ‘প্রযুক্তিগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা’ হিসেবে দেখা হয়েছিল ফোনটিকে। যেভাবে নিজেদের ভবিষ্যৎ ফোল্ডএবল আইফোনের মতো বড় বড় প্রজেক্টের আগে অ্যাপল ছোট ছোট আইডিয়া নিয়ে পরীক্ষা করে দেখে বিষয়টি ঠিক তেমনই।
অতি-পাতলা ফোনের বাজারে অন্যান্য প্রতিযোগীও রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। স্যামসাংয়ের ‘গ্যালাক্সি এস২৫ এজ’-এর বিক্রিও আশানুরূপ হয়নি। বিক্রি কমের কারণেই গুঞ্জন উঠেছে, নিজেদের পরবর্তী মডেল ‘গ্যালাক্সি এস২৬ এজ’ তৈরির পরিকল্পনা হয়ত পুরোপুরি বাতিল করে দিতে পারে স্যামসাং।
এসব জটিলতার পরও এ ধারণাটি পুরোপুরি বাদ না দিয়ে বরং ফোনটিকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে অ্যাপল।
নতুন আইফোন এয়ার ২-এর নকশায় পরিবর্তন এনে এর পেছনে দ্বিতীয় এক রিয়ার ক্যামেরা যোগ করতে পারে অ্যাপল। পাশাপাশি ফোনটির দামও কিছুটা কমাতে হতে পারে। তবে এর সিগনেচার ‘স্লিম’ বা পাতলা ডিজাইনটি আগের মতোই থাকবে।
অন্যান্য কোম্পানি যখন পাতলা ফোনের বাজার নিয়ে সন্দিহান তখন এই ডিজাইনটিকে আরও উন্নত করে মূলধারার জনপ্রিয়তায় নিয়ে আসা সম্ভব বলে ধারণা অ্যাপলের।
তবে সত্যিই যদি কোম্পানিটি ২০২৬ সালে ফোনটি বাজারে আনার সিদ্ধান্ত নিয়ে এগোয় তবে তা হবে অ্যাপলের জন্য বড় এক বাজি।