আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতি বছরই নতুন লোক ঢোকার সুযোগ করে দিয়ে থাকেন কানাডা সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় এবার এই দেশটি ৩ লাখেরও বেশি নতুন লোককে কানাডায় আসার সুযোগ দিবে।
অভিবাসন মন্ত্রী জন ম্যাককালাম গত ৮ মার্চ জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত বার্ষিক প্রতিবেদনে সরকারের এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
অভিবাসী বিষয়ে নতুন এ পরিকল্পনায় দেশটিতে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলন এবং শরণার্থী শ্রেণিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
দেশটির সংসদে প্রতিবেদন উপস্থাপন করে মন্ত্রী বলেন, ‘সবার জন্য কানাডার দরজা আবারো উন্মুক্ত হচ্ছে।’ পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৬ বর্ষে ৩ লাখ ৫ হাজার অভিবাসী নেবে দেশটি, যা ২০১৫ সালের চেয়ে ২১ হাজার বেশি।
পরে এক সংবাদ সন্মেলনে সরকারের অভিবাসন নীতি ব্যাখ্যা করেন অভিবাসন মন্ত্রী জন ম্যাককালাম। বলেন, ‘চলতি বছর আরও বেশী সংখ্যক নতুন অভিবাসী গ্রহণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।’
কানাডার ইতিহাসে অভিবাসী গ্রহণে এ সংখ্যা সর্বোচ্চ জানিয়ে অভিবাসন মন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নে অভিবাসীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এবং উদার কর্মসূচির মধ্য দিয়েই আজকের কানাডা গড়ে উঠেছে। অনেক প্রতিভাবান এবং কর্মঠ উদ্যোক্তা এদেশকে তাদের পছন্দের জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।’
সংসদে অভিবাসী বিষয়ে পরিকল্পনা উপস্থাপন করে মন্ত্রী বলেন, ‘নতুনদের স্বাগত জানাতে কানাডা বরাবরই উদার। পরিবারের সদস্যদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে একত্রিত হওয়ার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া মানবিক বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে শরণার্থীদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, কানাডা ২০১৪ সালে ২ লাখ ৬০ হাজার ৪০৪ অভিবাসিকে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে গ্রহণ করে। এর মধ্যে দক্ষ শ্রেণিতে ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৯, পারিবারিক শ্রেণিতে ৬৬ হাজার ৬৬১ অভিবাসি এবং শরণার্থী শ্রেণীতে ২৮ হাজারের কিছু বেশী।
চলতি বছর ৫৫ হাজার ৮০০ শরণার্থী গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ ২৫ হাজার সিরীয় শরণার্থী ইতোমধ্যে পৌঁছেছে। সিরিয়া ছাড়াও কঙ্গো, কলম্বিয়া এবং ইরিত্রিয়া থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শরণার্থী গ্রহণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে কানাডা।
১২ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন