শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০১৬, ০৩:১৯:০২

পাকিস্তানের ইতিহাসে বিরল ঘটনা, হোলি উৎসবে সরকারি ছুটি!

পাকিস্তানের ইতিহাসে বিরল ঘটনা, হোলি উৎসবে সরকারি ছুটি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করাচিতে বহু হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষ শহরের স্বামী নারায়ণ মন্দিরে এসে জড়ো হন হোলি উপলক্ষ্যে। রীতিমতো আবির, জল রং নিয়ে একে অন্যের গায়ে মাখিয়ে দেওয়ার পালা চলে।

স্বামী নারায়ণ মন্দিরে হোলি খেলতে এসেছিলেন ঈশ্বরলাল মাখেজা। তিনি জানালেন, মানুষ ‌যখন একে অপরের দিকে রং ছুঁড়ে দেয় তখন তা রং নয় বরং ভালোবাসাই ছুঁড়ে দেয়।

হোলি সব থেকে ধুমধাম করে পালন করা হয়েছে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে। সেখানেই দেশের সব থেকে বেশি সংখ্যায় হিন্দুর বসবাস করেন। তাদের বহুদিনের দাবির কথা মাথায় রেখে গত ১৯ মার্চ সিন্ধ প্রদেশে ২৪ মার্চ হোলি উপলক্ষ্যে ছুটি ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তানের ইতিহাসে এটি অবশ্যই একটি উল্লেখ‌যোগ ঘটনা।

হোলি উপলক্ষ্যে সরকার ছুটি ঘোষণা করায় খুশি সিন্ধ প্রদেশের হিন্দুরা। পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রমেশ ভানখানি সংবাদমাধ্যমে বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। সিন্ধ প্রদেশের হিন্দুরা এই ঘোষণার ব্যাপক খুশি। এটি সম্মানের প্রশ্ন ছিল।

হোলি পালন করা হল পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদেও। এলাকার বাসীন্দা সন্ধ্যা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, আমরা তো আগে থেকেই গুলাল (আবির) অর্ডার দিয়ে রেখেছিলাম। মিষ্টিও আনিয়েছি। হোলি হল রং ও খুশির উৎসব। শহরের কালীবাড়ি এলাকায় হোলির জন্য আলাদা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার হিন্দুরা কৃষ্ণের মন্দিরে পুজো দেন।

রাওয়ালপিন্ডিতে বহু হিন্দু জড়ো হন কাবারি বাজারের কৃষ্ণ মন্দিরে। সেখানে তারা হোলি পালন করেন। হোলি উপলক্ষ্যে কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টকে পাক সেনাবাহিনীর জওয়ানরা ভারতীয় জওয়ানদের এসে শুভেচ্ছা জানান। মিষ্টি উপহার দেন।
২৫ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে