আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নির্বাচনি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পবিত্র আযানের শব্দ শুনে বক্তব্য থামিয়ে দিলেন ভারতের হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় ৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ড বক্তব্য বন্ধ রাখার পরে পুনরায় বক্তব্য দেয়া শুরু করেন তিনি।
রোববার দেশটির অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের খড়গপুরে এক নির্বাচনি জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বক্তব্য রাখায় সময় পার্শ্ববতীয় একটি মসজিদ থেকে আযানের ধ্বনি শুনে নিজের মাইক্রোফোন নীচু করে দেন এবং বক্তব্য বন্ধ রাখেন।
এ সময় লোকজনের মধ্যে কিছুটা চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে তিনি দু’হাত দিয়ে তাদেরকে বসে পড়া অথবা থামার ইঙ্গিত করেন। আযান শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আযান চলছিল, আমাদের জন্য কারো উপাসনা, প্রার্থনায় যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য কিছু সময় আমি বিরতি দিয়েছি।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার বক্তব্যে রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি সারদা কেলেঙ্কারি থেকে নারদা স্টিং কেলেঙ্কারি ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেন। মোদি বলেন, রাজ্যে শিল্প বন্ধ হয়ে গেলেও একটি শিল্প বিকশিত হয়েছে, সেটি হল বোমা তৈরির ব্যবসা। একসময় বাংলা শিল্পের রাজধানী ছিল। কিন্তু আজ পর্যাপ্ত শিল্প রাজ্যে নেই। ২০১১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর ভেবেছিলাম বাংলায় ৩৪ বছরের কুশাসন শেষ হবে। কিন্তু, ৩৪ বছরে যতটা সর্বনাশ হয়েছিল, গত ৫ বছরে এ রাজ্যের ততটা সর্বনাশ হয়েছে।’
তিনি তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, যারা মা-মাটি-মানুষের কথা বলে, তারাই বাংলার মানুষের মোহভঙ্গ ঘটিয়েছে।’ পশ্চিমবঙ্গে যা সর্বনাশ হয়েছে, গোটা দেশে তা নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেন মোদি।
তিনি জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, আপনারা কি দুর্নীতি করার জন্য এই সরকার তৈরি করেছিলেন? তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, ‘প্রথমে ‘সারদা’, পরে ‘নারদা’। ক্যামেরার সামনেই ওরা টাকা নিয়েছেন। এই পয়সা সাধারণ মানুষের। জনগণের টাকা লুট করেছে এই সরকার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার বিকাশের জন্য এখানে বিজেপির সকার গঠনের প্রয়োজন। বিজেপিকে এবারের জন্য ভোট দিয়ে দেখুন রাজ্যের উন্নয়ন কেমন হয়। যেসব রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করেছে, সেখানে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলেও দাবি করেন মোদি।
২৮ মার্চ ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস