মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১৬, ০৪:৫৩:৪৪

মার্কিন উপঢৌকনের কোনো প্রয়োজন নেই : ফিদেল কাস্ত্রো

মার্কিন উপঢৌকনের কোনো প্রয়োজন নেই : ফিদেল কাস্ত্রো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিউবায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ঐতিহাসিক সফর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো। তিনি বলেন, ক্যারিবীয় অঞ্চলের মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াতে জানে, সাম্রাজ্য (আমেরিকা) থেকে আমাদের কোনো উপঢৌকনের প্রয়োজন নেই। তবে শিক্ষার হাত ধরে কিউবার যে বৈজ্ঞানিক, সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়ন ঘটেছে, তা স্বেচ্ছায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চায় কিউবার মানুষ।

২১ মার্চ দুদিনের সফরে কিউবা যান বারাক ওবামা। এটি ছিল ১৯৫৯ সালের পর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম কিউবা সফর। ওবামার আগে আমেরিকার অন্তত ১০ জন প্রেসিডেন্ট কিউবাকে শত্রুদেশ বলে গণ্য করতেন। তবে এই সফরে প্রায় ৪৭ বছর কিউবা শাসন করা বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে কোনো বৈঠকের কর্মসূচি ছিল না ওবামার। এমনকি সফরের সময় দেয়া বক্তৃতায় ফিদেলের নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করেননি ওবামা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার এ সফর নিয়ে কিউবায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ সফরের মূল্যায়ন নিয়ে ফিদেল কাস্ত্রোর লেখা ‘ব্রাদার ওবামা’ শিরোনামে এক হাজার ৫০০ শব্দের দীর্ঘ একটি কলাম সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা গ্রানমা’র একটি পাতাজুড়ে। সেখানে তিনি ওবামার সফরকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

কিউবা সফরের শেষদিনে দেয়া ভাষণে ওবামা বলেছিলেন, “আমেরিকা ও কিউবার অতীতকে পেছনে ছেড়ে আসার এটিই সময় এবং এখন বন্ধু হিসেবে, প্রতিবেশী হিসেবে এবং পরিবার হিসেবে একত্রে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে যাত্রা শুরু করার সময়।”

বারাক ওবামার এ আহ্বানকে ‘মধুমাখা ভাষণ’ হিসেবে ব্যঙ্গ করে ফিদেল কাস্ত্রো লিখেছেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখ থেকে এসব শব্দ শুনে আমরা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে পড়ে গিয়েছিলাম বলে মনে হয়। ওবামার এসব কথা শুধু মুখে বলার জন্যই। তিনি মন থেকে এসব কথা বলেননি।”

মতামতধর্মী ওই লেখায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা এবং তার কথাবার্তার সমালোচনা করে ফিদেল কাস্ত্রো বলেন, “আমার বিনয়ী পরামর্শ হবে, ওবামা যেন কিউবার রাজনীতি নিয়ে তত্ত্ব দাঁড় করানোর চেষ্টা না করেন।” কাস্ত্রো তাঁর কলামে কিউবার বিরুদ্ধে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞাসহ নানা অপকর্মের তালিকা তুলে ধরেছেন।

অসুস্থতাজনিত কারণে ২০০৮ সালে ফিদেল কাস্ত্রো তাঁর ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিলেও ৮৯ বছর বয়সী ফিদেল কাস্ত্রোর এখনো কিউবায় দারুণ প্রভাব রয়েছে। ১৯৫৯ সালে মার্কিন সরকারকে উৎখাত করে ফিদেল ক্যাস্ত্রোর নেতৃত্বে বিপ্লবী কামউনিস্ট সরকার ক্ষমতা দখল করলে কিউবা ও ‌আমেরিকার মধ্যে শত্রুতা ভয়াবহ আকার ধারণ করে।-আইআরআইবি
২৯ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে