আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরান দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবগুলোর সঙ্গে দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কোনো বিরোধ নেই। এ ছাড়া, সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র বিষয়ক নীতি এখন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নিরাপত্তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পার্লামেন্টের মজলিসে শুরায়ে ইসলামির জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলাউদ্দিন বোরুজেরদি।
ইরানের ওপর ১৯৮০ সালে তৎকালীন ইরাকি শাসক সাদ্দামের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বোরুজেরদি বলেন, আট বছরের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের সময় যে দেশটির বহু শহর সাদ্দামের অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্রে আক্রান্ত হয়েছিল নিজের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি বাড়ানোর অধিকার তার রয়েছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নীতি কখনো পরিবর্তিত হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ইরানের এই প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান বলেন, যে দেশটি স্বীকার করেছে তার কাছে পরমাণু বোমা নেই এবং সব ধরনের গণ বিধ্বংসী অস্ত্র তার দৃষ্টিতে হারাম; তার কাছে যদি ক্ষেপণাস্ত্রও না থাকে তাহলে সে কী দিয়ে আত্মরক্ষা করবে? ইরানের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র না থাকলে তো শত্রু তেহরানের ওপর হামলা চালাতে উৎসাহিত হবে।
বোরুজেরদি তার দেশের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোর হস্তক্ষেপমূলক বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেন, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির এ সংক্রান্ত বক্তব্যে কোনো যুক্তি নেই এবং ইরানের সংসদ সদস্যদের দৃষ্টিতে এসব বক্তব্য নিন্দনীয়।
০২ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস