আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবশিষ্ট রাজনৈতিক বন্দিদেরও আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে মুক্তি দেয়া হবে। এই ঘোষণা দিয়েছেন মিয়ানমারের নতুন সরকারের মুখ্য ব্যক্তি ‘স্টেট কাউন্সিলর’ অং সান সু চি। তিনি বলেছেন, বন্দিমুক্তি সরকারের প্রথম কাজ। এ নিয়ে নতুন সংশ্লিষ্ট বিভাগ কাজ শুরু করেছে।
প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থায় নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি সু চি’র প্রথম প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। অং সান সু চি'র দল ন্যশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) ক্ষমতাসয় আসার পর ইতোমধ্যে বেশ কিছু রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, দেশটিতে আরও ৫ শতাধিক রাজনৈতিক বন্দি রয়েছে। নতুন এ ঘোষণায় রাজনৈতিক বন্দি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে জানা গেছে, রাজনৈতিক বন্দির সংখ্যা ১০০-এর মতো হতে পারে। অন্য বন্দিদের বিরুদ্ধে সরকারের বিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভে অংশ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত বুধবার মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্ট থিন খিয়াও এবং ‘স্টেট কাউন্সিলর’ অং সান সু চি’র সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জানান, টেলিফোনে কথা বলার সময় শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার পালাবদল এবং জাতীয় সংহতি এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সু চি’র ব্যক্তিগত ভূমিকার প্রশংসা করেছেন বারাক ওবামা।
এদিকে গেল সপ্তাহে প্রতিবেশি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং উই’র সঙ্গেও বৈঠক করেছেন অং সান সু চি।
০৮ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস