এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : দেওয়ালটা বোধহয় পিছনে ঠেকে গিয়েছিল ওঁদের। অভাবকে জয় করতে তাই এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন ওঁরা। খরচে লাগাম টানার মাত্রা বাড়িয়েও অভাবের চেনা ছবিটা যখন অপরিবর্তিত। নুন আর পান্তা একসঙ্গে জোগাড় করতে গিয়ে পরিবারের লোকেদের যখন গলদঘর্ম অবস্থা। বিপর্যয়ের এই সময়েই কঠোর সিদ্ধান্তটা নিলেন ওঁরা। বাবা মায়েদের কষ্ট কমাতে এবছর বিয়েই করছে না গ্রামের ২০ থেকে ২৫ জন বিবাহযোগ্য তরুণী।
ভারতের মহারাষ্ট্রের অন্য জায়গার মত বিগত ৪-৫ বছর ধরে খরা চলছে বীড় জেলার ওয়ারোল তান্ডা গ্রামেও। ফুটিফাটা মাঠের বৃহদাংশেই কুশ ফলেনি বিগত বছরগুলিতে। ফলে পরিবারের অভাব বেড়েই চলেছে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের সন্ধানে এক এক করে গ্রাম ছেড়েছেন অনেকেই। প্রায় ৩ হাজার সদস্যের গ্রামের অনেকেই এখন ঘরছাড়া। কিন্তু যাঁরা গ্রামে আছেন, এক কঠোর বাস্তবের মুখোমুখি তাঁরা। তাই একবছর বিয়েই না করে কিছুটা খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সবিতা নামের এক তরুণী আক্ষেপ করে বলেন, খরার কারণে এবছর মাত্র ৩০,০০০ হাজার টাকা আয় করেছে আমার বাবা। একই আক্ষেপ গ্রামের অন্য তরুণীদেরও। তাই একবছর বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন না। একইসঙ্গে সরকারি সাহায্যের দাবিও জানিয়েছেন তরুণীরা।
১০ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস