আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা এফবিআইয়ের চোখে দুর্ধর্ষ এক নারী তিনি। এফবিআইয়ের ‘টেন মোস্ট ওয়ান্টেড ফিউজিটিভের’ মধ্যে ৯ নম্বরে তার নাম। তাকে ধরিয়ে দিতে এক লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
ওই তরুণীর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন এক দাঁতের চিকিৎসক। এ জন্য সেই ডাক্তারকে খুনের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই গত ৯ মাস সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি।
কিন্তু মেক্সিকোর ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির হাতে শুক্রবার ধরা পড়েছেন তিনি। তার নাম ব্রেনদা ডেলগাদো। বয়স ৩৩ বছর। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে তার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন ডাক্তার কেনদা হ্যাচার (৩৫)। এ জন্য ওই ডাক্তার ডালাসে এক গাড়ির গ্যারাজে খুন হন। নিজে তাকে খুন করেন নি ব্রেনদা ডেলগাদো। তিনি লোক ভাড়া করে তাকে খুন করিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
ডালাস বিভাগের এফবিআই কর্মকর্তা থমাস ক্লাস সিনিয়র বলেন, যদিও তিনি নিজে ট্রিগারে হাত রাখেন নি, তবু ওই হত্যার জন্য তিনিই দায়ী। তদন্তকারীরা বিশ্বাস করছেন, ডাক্তার কেনদা হ্যাচার খুন হওয়ার কয়েক দিন আগে ব্রেনদা ডেলগাদোর বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে অবকাশ কাটাতে মেক্সিকো যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে বয়ফ্রেন্ডের পিতামামার সঙ্গে সাক্ষাত করা শুরু করেন কেনদা হ্যাচার।
এ জন্য ওই চিকিৎসককে হত্যার জন্য কয়েক মাস ধরে তিনি পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। একাজে তাকে সহায়তা করে ক্রিস্টাল কোরটেজ, ক্রিস্টোফার লাভ। তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাখা হয়েছে জেলে। কর্তৃপক্ষ বলছে, অর্থ দিয়ে এ দু’জনকে প্রলুব্ধ করা হয়েছিল ডাক্তার কেনদাকে হত্যা করতে। ব্রেনদা ডেলগাদোকে এখন আটক করে রাখা হয়েছে মেক্সিকো সিটিতে। তাকে ডালাসে স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়া চলছে।
১১ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস