মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬, ১০:০১:১৫

১ ঘটনায় ১০০০ হিন্দু পরিবারের ইসলাম গ্রহণের হুঁশিয়ারি

১ ঘটনায় ১০০০ হিন্দু পরিবারের ইসলাম গ্রহণের হুঁশিয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক হাজার হিন্দু দলিত পরিবার ইসলাম গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে গত সপ্তাহে বামহেটা গ্রামে দলিত সম্প্রদায়ের অষ্টম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে গণপাশবিক নির্যাতন এবং পরে ওই ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক বাবলু এবং রাঞ্চো যাদবের পরিবারের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত ওই দলিত পরিবারের ওপর মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ নানাভাবে সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ।

রোববার এই বিষয়টি নিয়ে আরো উত্তেজনা ছড়ায়। সেদিন ছিল ওই ছাত্রীর ‘চৌথা’ অনুষ্ঠান। গ্রামের সাবেক প্রধান লীলা ধর এবং অভিযুক্তদের পরিবারের লোকজন সেখানে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সংশ্লিষ্ট গ্রামটিতে বসবাসকারী এক হাজার দলিত পরিবার সম্মিলিতভাবে ইসলাম গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

স্থানীয় দলিত সম্প্রদায়ের বাসিন্দা প্রদীপের অভিযোগ, গত ২৯ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বাবলু এবং রাঞ্চো ওই ছাত্রীকে পাশবিক নির্যাতন করে। এটা করার সাহস হয়েছে এজন্য যে, ওই মেয়েটি দলিত ছিল।

তিনি আরো বলেন, ওরা ভেবেছিল যে, তারা সহজেই পার পেয়ে যাবে। ৬ এপ্রিল ওই নির্যাতিতা গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করে। রোববার তার চৌথা অনুষ্ঠান পালন করা হচ্ছিল। এ সময় অভিযুক্ত যুবকদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য এসে নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনদের মারধর করে। এদের সঙ্গে গ্রামের সাবেক প্রধান লীলা ধরও ছিল।

প্রদীপ বলেন, এই গ্রামে দলিতরা সংখ্যালঘু হলেও তারা সংগঠিত। গ্রামে কমপক্ষে এক হাজার দলিত পরিবার রয়েছে। গ্রামের কিছু অন্য সম্প্রদায়ের মানুষজন আমাদের শোষণ করছে। এই পাশবিক নির্যাতন তো একটি সূত্র মাত্র। এমনকি পুলিশও ঘুষ নিয়ে অন্য সম্প্রদায়ের পক্ষ নিচ্ছে। রোববারের ঘটনার পরে আমরা সম্ভবত ইসলাম গ্রহণ করতে চলেছি। হিন্দু ধর্মের মধ্যে আমাদের কথা শোনার মতো কেউ নেই। আমরা যদি ইসলাম গ্রহণ করি তাহলে ন্যায্য শুনানি পাব।

এদিকে, গাজিয়াবাদের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা ধর্মেন্দ্র সিং এ নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, ‘পুলিশ এ ব্যাপারে আগেই পদক্ষেপ নিয়েছে। দু’জন প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববারের ঘটনার পরে আমরা আরো একটি মামলা দায়ের করেছি। গ্রামে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে।
১২ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে