নিউজ ডেস্ক : আলো-আঁধারিতে কড়কড়ে নোটের হাত চালাচালিতে যে কাজ হয় এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে। টাকার কাজ করতে শর্টকাট সময় নেন তা অনেকেরই জানা। সাবেক এক রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, চাকরি পেতে দুটি পথ- মামা আর টাকা। এ দুটো হলেই চাকরি পাওয়া সম্ভব।
কিন্তু পরীক্ষার ক্ষেত্রেও কি এমন ঘটনা ঘটে? প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা না হয় আগে শোনা যেত। তবে পরীক্ষার খাতার ভেতর টাকা সংযুক্ত করে দিয়ে কি পাস করা সম্ভব?
এমন আজব কাণ্ড ঘটিয়েছে ক্লাস টেনের পড়ুয়া পরীক্ষার্থীরা। খাতার ভাঁজে কড়কড়ে ৫০০ টাকার নোট গুঁজে দিয়ে তলায় লিখে দিতে পারে- বিয়ের কথা হচ্ছে স্যার। এই ৫০০ টাকা নিন। পাসটুকু করিয়ে দিন।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে। প্রদেশের বস্তি জেলায় ক্লাস টেন ও ইন্টারের পরীক্ষার খাতা দেখার কাজ চলছিল জিজিআইসি ইন্টার কলেজে। কনৌজের বাঙ্কেলাল বিহারি ইন্টার কলেজের ক্লাস টেনের পরীক্ষার্থীদের খাতা দেখছিলেন পরীক্ষক।
খাতা দেখতে দেখতে চক্ষু ছানাবড়া হওয়ার জোগাড়। উত্তরপত্রে ভুলভাল লেখা। কেউ কেউ তো পাস করানোর আর্জি জানিয়ে রীতিমতো টাকা সেঁটে দিয়েছে খাতার ভাঁজে।
পাস করানোর আর্জির পাশাপাশি আশ্চর্যরকমের কারণও দেখিয়েছে পড়ুয়ারা।
কেউ লিখেছে, সে খুব গরিব, তাই তাকে যেন দয়া করে পাস করিয়ে দেন গুরুজি।
কারোর খাতায় আবার লেখা, টুকলি লিখে দেয়ার জন্য হাজার তিনেক টাকা জোগাড় করে একজনকে দিয়েছিল সে। কিন্তু হলে কড়া গার্ড থাকায় টুকলি করতে পারেনি। জলে গেছে পুরো টাকা। তাই তাকে যেন পাস করিয়ে দেয়া হয়।
কেউ তো আবার লিখেছে, পাস করিয়ে দিন স্যার, আপনার শতায়ু হোক।
একজন তো আবার পরিষ্কার লিখে দিয়েছে, বিয়ের কথা হচ্ছে স্যার। ৫০০ টাকা নিয়ে পাস করিয়ে দিন।
সব দেখেশুনে হাসবেন না কাঁদবেন বুঝে উঠতে পারছেন না পরীক্ষকরা।
তবে তারা একটা কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পঞ্চাশই দাও বা পাঁচশ'- ভবি ভোলবার নয়। ঘুষে কোনো কাজই হবে না।
খাতায় যে যেমনটা লিখেছে, নম্বরও সে ঠিক তেমনটাই পাবে। তবে তারা আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন ওই সব পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে। ক্লাস টেনের এক পড়ুয়া পড়াশোনা না করে যদি টাকা দিয়ে পাস করতে চায়, তাহলে রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থা কোথায় দাঁড়িয়ে ? শিক্ষার ভবিষ্যৎই বা কী ?
১৩ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম