মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৬, ০৯:০৮:০২

নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১৩, আহত ২৫০০

নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১৩, আহত ২৫০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দ্বীপরাষ্ট্র ইকুয়েডরে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪১৩ জনে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ২৫০০ জন। উদ্ধার কাজে অন্তত ১০ হাজার সৈন্য ও ৩৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজন হওয়ায় এবং অনেক স্থানে এখনো উদ্ধার তৎপরতা শেষ না হওয়ায় এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

রবিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৫টা ৫৮ মিনিটে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.৮। ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা-সিএসইএম জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল উপকূলীয় শহর মুইসেন থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৯ কিলোমিটার গভীরে।

ভূমিকম্পের পর প্রশান্ত অঞ্চলের অনেক দেশে সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। তবে ইকুয়েডরের উপকূলীয় কিছু এলাকায় এখনো সুনামির আশঙ্কা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাফায়েল ইতালি সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেই ছয়টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করে ন্যাশনাল গার্ডকে উদ্ধার কাজে পাঠিয়েছেন।

গতকাল প্রেসিডেন্ট আক্রান্ত এলাকা সফরে গিয়ে বলেন, ‘ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এলাকা পুর্ননির্মাণে বিলিয়ন ডলার অর্থের প্রয়োজন। গত ৭ দশকে এটাই ইকুয়েডরের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়’।

প্রবল ঝাঁকুনিতে রাজধানী কিটোর বাসিন্দারা আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসে। গুয়ায়াকিল শহরে একটি ওভারপাস ধসে পড়ে। সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রাজধানী কিটোর একটি অংশ সাময়িকভাবে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। মান্তা শহরে বিমানবন্দরের একটি টাওয়ারও ভেঙে পড়েছে।

সন্ধ্যার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর দফায় দফায় মৃদু ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে সেখানে। বহু মানুষকে রাত কাটাতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে।

প্রশান্ত মহাসাগরে ‘রিং অব ফায়ার’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠা ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় ইকুয়েডরের অবস্থান। ১৯৭৯ সালের পর সেখানে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনা।
১৯ এপ্রিল ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে