শুক্রবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৬, ০২:২৩:৫১

ছোট্ট একটি দুর্ঘটনার সূত্র ধরেই দুর্নীতিবাজ ১২ সেনা অফিসারকে বহিষ্কার!

ছোট্ট একটি দুর্ঘটনার সূত্র ধরেই দুর্নীতিবাজ ১২ সেনা অফিসারকে বহিষ্কার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একটি দুর্ঘটনার মধ্যদিয়ে সেনাবাহিনীতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্যতম বড় শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছিল পাকিস্তান। সেই সূত্র ধরেই দুর্নীতিবাজ ১২ সেনা অফিসারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দেশটির কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম শুক্রবার এ সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলেও দেশটির সরকার বা সেনাবাহিনী এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলে নি।

এছাড়া, বৃহস্পতিবার প্রাথমিক খবরে ১২ সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম এ সংখ্যাকে ১১, আবার কেউ একে ছয় বলে দাবি করেছে।

অবশ্য দুর্নীতির দায়ে একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল এবং একজন মেজর জেনারেলসহ কয়েকজন ব্রিগেডিয়ার চাকরি হারিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। চাকরিচ্যুত সবাই পাকিস্তানের আধা সামরিক বাহিনী ফ্রন্টিয়ার কোর বা এফসি-তে কাজ করেছেন।

২০১৪ সালে এ বাহিনীর তৎকালীন প্রধান মেজর জেনারেল ইজাজ শাহিদের ছেলের একটি স্পোর্টস কার পরীক্ষার সময় সেনাবাহিনীতে চাকরিরত দুই প্রকৌশলী নিহত হন। নিহতদের একজন ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল অন্যজন মেজর।

পাকিস্তানে বিরাজমান আইন ফাঁকি দিয়ে গাড়িটি যোগাড় করা হয়েছিল। আর এটি মেরামতের দায়িত্ব বর্তায় সেনা প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাকিলের ওপর। কিন্তু দুর্ঘটনায় দুই কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পর এ নিয়ে এফসি সদর দফতর থেকে তদন্ত চালানো হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে মরার ওপর খাড়ার ঘায়ের মতো তাদের উত্তরাধিকারদের ক্ষতিপূরণের অর্থ না দেয়ার সুপারিশ করা হয়। এতে দুই পরিবার স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হয় এবং এ নিয়ে পাক সেনা প্রধানের সচিবালয়ে অভিযোগ জানায় তারা।

এ অভিযোগকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সেনা গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়। অবশ্য তদন্ত শুরুর আগেই মেজর জেনারেল শাহিদকে সরিয়ে আনা হয়। তদন্তের সূত্র ধরে এফসি’র দুর্নীতির বিশাল কালসাপ বেরিয়ে আসে।

২০০৬ এবং ২০০৭ সাল থেকেই এফসি’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং চোরাচালানে জড়িত থাকার নানা অভিযোগ উঠলেও বেলুচিস্তানে চলমান সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয় নি।

এদিকে, পাকিস্তানে নজিরবিহীনভাবে সেনা কমর্কতাদের বরখাস্ত করাকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো।
২২ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে