আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুবাই আমির এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাখদুমের বড় ছেলে মাদকাসক্তির কারণে অকালে মারা গেছেন বলে কোনো কোনো খবরে দাবি করা হয়েছে। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশটিতে মাদক ব্যবহার নতুন করে আলোচনায় চলে এসেছে।
গত শুক্রবার মাত্র ৩৩ বছর বয়সে মারা যান শেখ রাশিদ বিন মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাখদুম। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।
কিন্তু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, মাদক ও শক্তি বর্ধক স্টেরয়েডে আসক্ত ছিলেন তিনি। অবশ্য আসক্তি থেকে মুক্ত করার জন্য একাধিকবার তাকে অনেক মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্রেও পাঠানো হয়েছে।
আরব দেশগুলোর অভিজাত সমাজে এ জাতীয় আসক্তি নতুন কিছু নয়। রাজপরিবার এবং অভিজাত সমাজে এ জাতীয় প্রবণতা অনেকদিন ধরেই চলে আসছে।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, শেখ রাশিদের অকাল মৃত্যু অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, যার উত্তর পাওয়া যায়নি। দুবাইয়ের শাসকের উচ্ছৃঙ্খল ছেলেকে গত কয়েক বছর ধরে আর প্রকাশ্য দেখা যায়নি।
২০০৮ সালে তাকে দুবাইয়ে যুবরাজের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এ পদে অভিষিক্ত করা হয় তার তৃতীয় ভাই ৩১ বছর বয়সী শেষ মাখদুম বিন মোহাম্মদ আল মাখুদমকে।
এ সংক্রান্ত একটি গোপন বার্তা পাঠিয়েছিলেন মার্কিন ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল ডেভিড উইলিয়ামস। তাতে দুবাই শাসকের জাবিল প্রাসাদের অভ্যন্তরীণ চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দুবাই শাসকের এক সহযোগীকে হত্যা করেছিলেন এই উচ্ছৃঙ্খল ছেলে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যুবরাজের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় তাকে।
অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট উইকিলিকস মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের যেসব গোপন বার্তা ফাঁস করে দিয়েছে তা থেকে এটি জানা গেছে। অবশ্য নিহত ব্যক্তির নাম এতে প্রকাশ করা হয়নি।
মার্কিন কনস্যুল জেনারেল মার্টিন কুইনের লেখা বার্তায় বলা হয়েছে, ধনকুবের পরিবারের সন্তান এবং রাজপুত্ররাই কেবল নিষিদ্ধ এ জাতীয় পার্টির আয়োজন করতেন। রাজপুত্র এবং অভিজাত পরিবারের সন্তানদের দেয়া এসব পার্টিতে কোকেন এবং হাশিশের অঢেল সরবরাহ থাকতো।
এসব পার্টিতে সম্মানিত অতিথির পদ অলংকৃত করতেন রশিদসহ আমিরাতের অনেক রাজপুত্র। অবশ্য রাশিদের মাদকাসক্তি ও অনৈতিক জীবন নিয়ে প্রকাশিক খবরের বিষয়ে কখনোই মন্তব্য করেনি জাবিল প্রাসাদ। সূত্র : রেডিও তেহরান
২৩ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম