আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। বিবাহিত জীবনের পর এবার তার শিক্ষাজীবন নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কী- তা কার্যত অনেকটাই অজ্ঞাত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতার রেকর্ড প্রকাশের জন্য দেশটির কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাছে আবেদন করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তথ্য অধিকার আইনে করা আবেদন আমলে নিয়ে শুক্রবার কমিশন দিল্লি ও গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়কে মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতার রেকর্ড প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে।
তবে এরই মধ্যে ‘আহমেদাবাদ মিরর’ নামের একটি পত্রিকা মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্বশেষ ধাপের রেকর্ড প্রকাশ করেছে।
এতে দেখা যায়, এক সময়ের চা বিক্রেতা মোদি গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্সে ফার্স্ট ক্লাস বা প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন।
পত্রিকাটি জানায়, মোদি ১৯৮৩ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সটার্নাল শাখার শিক্ষার্থী হিসেবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষা দেন এবং ৬২.৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
দুই বছরের ওই কোর্সে মোদি অন্যান্য বিষয়ের সাথে ইউরোপীয় রাজনীতি, ভারতীয় রাজনীতি বিশ্লেষণ এবং রাজনীতির মনোবিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মোদির স্নাতক ডিগ্রির কোনো তথ্য নেই।
১ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস