অমর সাহা: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯৪টি আসনের মধ্যে শনিবার পর্যন্ত ৫ দফায় ২৬৯টি আসনের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এখন বাকি ২৫টি আসনের নির্বাচন। সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ মে।
এবারের নির্বাচনে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ছিল নির্বাচন মূলত কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের ভূমিকার জন্য। ৫ দফার এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের কড়া ব্যবস্থা গ্রহণে এবার তৃণমূলের ভোট লুটকারীরা ভোটে তেমন সুযোগ করে উঠতে পারেনি। অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী আগেভাগেই ভোট ডাকাতদের হুঁশিয়ারি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় শাসক দলের নেতারা। আর সেই ক্ষোভের কথা চেপে রাখতে পারেননি খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাই গতকাল রোববার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে এক নির্বাচনী জনসভায় ক্ষোভের সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, যেসব ভিতু পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভোটে সন্ত্রাস করেছে তাদের এ জন্য ভবিষ্যতে ভুগতে হবে। তিনি বলেন, সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি আজ গাঁটছড়া বেঁধে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগিয়েছে। ভিতু কিছু পুলিশ তাদের সঙ্গে মিলেছে। জারি করেছে ১৪৪ ধারা। নির্বাচনের নামে নির্যাতন করেছে ভোটারদের। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট লুট করেছে। এসব যারা করেছে তাদের ভুগতে হবে।
মমতার এই মন্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান বলেন, রাজ্যের পৌরসভার ভোটে যেভাবে ভোট ডাকাতি করেছে তৃণমূল সেই সুযোগ না পেয়ে এ সব কথা বলছেন মমতা। সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেন, মমতা আইনের শাসন চান না। মানেন না। ৫ বছর ধরে আইনের ধার ধারেননি মমতা। নিজের ইচ্ছামতো কাজ করেছেন। কিন্তু এবার মানুষের জোট মমতার ভোট লুট বন্ধ করে দেওয়ায় হতাশ মমতা এখন এসব কথা বলছেন। কারণ, মমতা জানেন, তাঁর পরাজয় নিকটে।-প্রথম আলো
২ মে ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/সবুজ/এসএ