সোমবার, ০২ মে, ২০১৬, ০১:২১:০৩

যুবতিকে ছোট পোশাক পরতে নিষেধ অটোচালকের!

যুবতিকে ছোট পোশাক পরতে নিষেধ অটোচালকের!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘পোশাক পরেও আমাদের স্লাট বলা হয়। এ দেশে মেয়ে হয়ে জন্মানোর কোনও অর্থ নেই।’ এই আক্ষেপই ঝরে পড়ছিল পেশায় সাংবাদিক যুবতির ফেসবুক পোস্টে। আর মুহূর্তের মধ্যে ১,৭০০ লাইক। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরু শহরে।

কেউ সমবেদনা জানালেন, কেউ বিতর্ক আরও উসকে দিলেন। প্রতি ক্ষেত্রে প্রশ্ন একটাই - পোশাক পরার স্বাধীনতা আর কতদিন দুষ্প্রাপ্য থাকবে? বহুদিনের বিতর্কিত প্রশ্ন ফের উঠে এলো ঐশ্বরিয়া সুব্রমনিয়ম নামে এক যুবতির ফেসবুক পোস্টে।

কোন ঘটনাকে নিয়ে ফেসবুক পোস্ট ?

ওই যুবতি দাবি করেছেন, অটো করে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। অটো থামার পর টাকা দিতে গেলে, অটোওয়ালা তার কাছে কিছু বলতে চান। রাজি হলে ঐশ্বরিয়াকে অটোওয়ালা বলেন, ‘কিছু মনে করবেন না। কিন্তু, আপনি যে এত ছোট পোশাক পরেছেন, তা আপনার পরা উচিত নয়।’

ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে ঐশ্বরিয়া অটোচালককে বলেন, যে তার এই প্রশ্ন করার কোনও অধিকার নেই। অভিযোগ, একথা শুনে অটো থেকে বেরিয়ে আসেন ওই ব্যক্তি। কার্যত আগ্রাসীভাবে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন ওই চালক। যা দেখে এগিয়ে আসে আশপাশের কিছু মানুষ। এ সময় কিছুটা সাহস পান ঐশ্বরিয়া। আশা করেন, তারা হয়তো তার পক্ষেই বলবে।

ঐশ্বরিয়ার অভিযোগ, তার পোশাক নিয়ে কটাক্ষ ও সমালোচনা শুরু করে দেন তারা। ঘটনাচক্রে দুই যুবক এসে ঐশ্বরিয়ার পাশে দাঁড়ান। কিন্তু, গোটা ঘটনায় চরম অপমানিত ঐশ্বরিয়া চোখর জল ধরে রাখতে পারেননি। তার মনে হচ্ছিল, প্রকাশ্যে তার সম্ভ্রমহানি করা হয়েছে।   

এরপরই নিজের ফেসবুকে ওই পোস্ট করার সিদ্ধান্ত নেন ঐশ্বরিয়া সুব্রমনিয়ম। সঙ্গে পোস্ট করেছেন ওই অটোচালকের ছবি। চালকের ছবি যে অনুমতি নিয়ে পোস্ট করা হয়েছে, সে কথাও উল্লেখ করেছেন ঐশ্বরিয়া। তার ওই পোস্টের পর নীতি পুলিশগিরি নিয়ে তীব্র ধিক্কার ও সমালোচনা শুরু হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।   

২ মে ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে