আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ওমরাহ ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে পুরো সৌদি আরব। বাংলাদেশিরাও এই সুযোগ নিতে পারেন। গত সপ্তাহে সৌদি প্রিন্স সুলতান বিন সালমান ওমরাহ পরবর্তী সৌদি ভ্রমণের (পোস্ট ওমরাহ প্রোগ্রাম) নতুন এক কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সৌদি বাদশাহ সালমানের পুত্র সুলতান বর্তমানে দেশটির ট্যুরিজম এবং ন্যাশনাল হেরিটেজ কমিশনের প্রেসিডেন্ট। প্রিন্স পবিত্র ওমরাহ পালনকারী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সৌদি ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানান। একই সঙ্গে তিনি এ-ও জানান, নতুন কর্মসূচির আওতায় ওমরাহ পালনকারীরা ইচ্ছা করলে তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়াতে পারবেন। বর্ধিত সময়ের জন্য তারা ট্যুরিস্ট হিসেবে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন, তাদের ভিসা ট্যুরিস্ট ভিসা হিসেবেই বিবেচিত হবে। সুলতান বিন সালমানকে উদ্ধৃত করে সৌদি আরবের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম সৌদি গেজেট দেশটিকে বিশ্ব মুসলমানদের পছন্দের ‘গন্তব্য’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, সৌদি নেতৃত্ব এমন উদ্যোগ আরও অনেক বছর আগে নিয়েছিল। এ নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে জানিয়ে রিপোর্টে বলা হয়, সমপ্রতি সৌদি প্রিন্স সুলতান বিন সালমান আনুষ্ঠানিকভাবে পরিমার্জিত ‘পোস্ট ওমরাহ কর্মসূচি’ ঘোষণা করেন। রিয়াদে এক অনুষ্ঠানের সমাপনীতে ঘোষিত কর্মসূচির বিষয়ে একটি প্রেস স্টেটম্যান্টও দেন প্রিন্স।তিনি বলেন, ওমরাহ পালনকারীদের জন্য সৌদি আরবের ল্যান্ডমার্ক বিশেষ করে ইসলামের ঐতিহাসিক নগরগুলো দেখার সুযোগ সৃষ্টিতে এ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। সেখানে তারা ভ্রমণের আকর্ষণীয় গন্তব্যগুলো, শপিং সেন্টার ও মল সমূহ দেখার সুযোগ পাবেন। এ কর্মসূচির আওতায় ওমরাহকারীরা সৌদি আরবের সমৃদ্ধ সংস্কৃৃতি সম্পর্কে পরিচিত হওয়া ছাড়াও দেশটিতে চিকিৎসা, শিক্ষা এবং কেনাকাটা করতে পারেন। তারা যে কোনো প্রদর্শনী পরিদর্শন এবং কনফারেন্সেও অংশ নিতে পারবেন। কর্মসূচিটির বিস্তারিত এখনও চূড়ান্ত হয়নি বিশেষ করে ওমরাহ ভিসা কিভাবে ট্যুরিস্ট ভিসায় পরিবর্তন হবে তার কাঠামো এখনও ঠিক হয়নি জানিয়ে প্রিন্স বলেন, কর্মসূচিটি সহজ এবং আকর্ষণীয় করতে সৌদি ট্যুরিজম এবং ন্যাশনাল হেরিটেজ কমিশন দেশটির স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও হজ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। ভিন্ন ফর্মে কর্মসূচিটি নিয়ে অনেক বছর ধরে যে স্টাডি চলছে সেটি তাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হবে বলে আশা করেন তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসার জন্য বিজনেস ভিসায় সৌদি গমনকারী এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা পোস্ট ওমরাহ প্রোগ্রামের সুবিধা নিতে পারবেন বলেও ঘোষণা করেন প্রিন্স। সৌদি সরকারের এ ঘোষণাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন দেশটিতে থাকা ভিনদেশি কূটনীতিকরা। বিশেষ করে মুসলিম দেশের প্রতিনিধিরা। রিয়াদে থাকা বাংলাদেশের এক কূটনীতিক সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী বাংলাদেশিরাও এ সুযোগ পাবেন। আগ্রহীরা দেশটির আইনকানুন মেনেই এ সুবিধা ভোগ করবেন বলে আশা করেন ওই কূটনীতিক।-মানবজমিন
২ মে ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/সবুজ/এসএ