আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাউদওগ্লু। দেশটির ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি বা একেপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পরে এ ঘোষণা দিলেন তিনি।
বুধবার এরদোগানের সঙ্গে বৈঠকের পর থেকেই দাউদওগ্লু পদত্যাগ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। গত কয়েক মাস ধরে তাদের মধ্যে অস্বাভাবিক সম্পর্ক বিরাজ করছিল।
এরদোগান চাচ্ছেন, বর্তমান সংসদীয় পদ্ধতির জায়গায় প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতিতে তুরস্ক পরিচালিত হোক। তিনি মনে করেন, দুজন ক্ষমতাধর ব্যক্তির হাতে রাষ্ট্র পরিচালিত হতে পারে না।
অন্যদিকে দাউদওগ্লু মনে করেন, প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা চালু হলে তার কোনো কর্তৃত্ব থাকবে না।
তুর্কি কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ২২ মে ক্ষমতাসীন দলের কনভেনশন হতে যাচ্ছে। সেখানেই এ বিষয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন দাউদউগ্লু।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা সেমিল এরতেম বলেছেন, দাউদওগ্লুর পদত্যাগের পরে নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।
প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ঘনিষ্ঠ কোনো ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী করা হতে পারে। দাউদওগ্লুর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন দেশটির পরিবহনমন্ত্রী বিনালি ইলদ্রিম।
তিনি এর্দোগানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এছাড়া এর্দোগানের জামাতা ও জ্বালানি মন্ত্রী বেরাত আল বারাইকের নামও উঠে এসেছে।
২২ তারিখের কনভেনশনেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। সূত্র : রেডিও তেহরান
৫ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম