আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রেমিক যুগলকে সহায়তা করায় গ্রামের মোড়লদের নির্দেশে তরুণীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এমন নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনের অ্যাবোটাবাদের গ্রাম মাকালে।
গ্রামের মোড়লদের নির্দেশে এক তরুণীতে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, এক প্রেমিক যুগলকে পালিয়ে বিয়ে করতে সহযোগিতা করার জন্যই ওই তরুণীকে হত্যার নির্দেশ দেয় গ্রামের মোড়লরা।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন জানায়, ওই তরুণীকে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনের অ্যাবোটাবাদে তার গ্রাম মাকালের নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে একটি ভ্যানে ঢুকিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই তরুণীর গ্রাফিক ছবি প্রকাশিত হলে ঘটনাটি পাকিস্তান পুলিশের নজরে আসে।
তরুণীর মাসহ সমাজের বয়োজ্যেষ্ঠদের সংগঠন জিরগার ১৩ সদস্যকে ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যম।
জিরগার ১৫ জন সদস্য মিলে ওই তরুণীকে হত্যার নির্দেশ দেয়। পরে তাদের নির্দেশ মতো রাস্তার ধারে একটি ভ্যানে তরুণীকে রেখে আগুন দেয়া হয়। তবে পাকিস্তানের অন্যান্য সংবাদ মাধ্যম বলছে, ওই তরুণী এখনো জীবিত রয়েছে।
এ বিষয়ে মর্গের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে তিনটি ভ্যান প্রজ্বলিত অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। একটিতে আমরা একটি মৃতদেহ খুঁজে পাই। তবে তাকে শনাক্ত করতে পারিনি। পরে তার হাতে চুড়ি দেখে আমদের মনে হয়েছে এটি হয়তো ওই তরুণীর দেহ।
উল্লেখ্য, ভারতীয় উপমহাদেশে ভারত ও পাকিস্তানে পরিবার, গোত্র বা গ্রামের সম্মান বাঁচাতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড প্রায়ই ঘটে থাকে। মোড়লদের আদেশে কাউকে হত্যা করাকে বলা হয় ‘অনার কিলিং’।
এটা অনেক সময় ধর্মীয় কিংবা সামাজিক প্রথাও হতে পারে। ভারতের সতীদাহ অনার কিলিংয়ের একটি উদাহরণ।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে মিসর, ইয়েমেন, ইরাক, ইরান, জর্দান, লেবানন, তুরস্ক এবং ভূ-মধ্যসাগরীয় দেশগুলোতে অনার কিলিংয়ে র হার বেশি।
৫ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম