আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পৃথিবীর অন্যতম সম্পদশালী অঞ্চল মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসের বিষয়ে কড়া সতর্ক বার্তা দিলেয়েছন একদল গবেষক। তারা জানাচ্ছেন, একুশ শতকের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়তে পারে। এ বিষয়ে সাইপ্রাস ইন্সটিউটের রসায়য়ের অধ্যাপক জস লেলিবেলড বলেন, ওই অঞ্চলগুলোতে এ যাবত কালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিগত সময়ের চেয়ে দ্বিগুন।
লেলিবেলড আরো বলেন, ‘১৯৭০ সালের পর থেকে ওই অঞ্চলগুলোতে এখনো পর্যন্ত যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তা বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। এমনকি এই তাপমাত্রা এই শতকের শেষের দিকে বৃদ্ধি পেয়ে পাঁচগুন হতে পারে।’
এছাড়া যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে ইউরোপে শরণার্থীর সংখ্যা নাটকীয় ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
গবেষকরা ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৫ সাল- এই সময়সীমার মধ্যে করা ২৬ টি জলবায়ু মডেলের তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে ২০৪৬ সাল থেকে ২০৬৫ সাল এবং ২০৮১ সাল থেকে ২১০০ সাল- সময়সীমার সম্ভাব্য তথ্য উপাত্তের তুলনামূলক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
তবে ভবিষ্যৎ সময়সীমার দুটি পৃথক পরিস্থিতির একটিতে গ্রিন হাউস গ্যাসের প্রভাব কমার আশঙ্কা থাকলেও উভয় পর্যায়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার তথ্য মতে, ১৮৮০ সাল থেকে এ পর্যন্ত পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছে ০.৮ শতাংশ। কিন্তু ড. লেলিবেলড আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার যদি কোনোভাবে দুই ডিগ্রী পর্যন্ত পৌঁছে যায় তাহলে মধ্যেপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে উষ্ণতম সময়ের রাতের তাপমাত্রা ও ত্রিশ ডিগ্রির নিচে হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। তখন দিনের তাপমাত্রা হবে ৪৬ ডিগ্রী।
০৮ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম