রবিবার, ০৮ মে, ২০১৬, ০৮:৪৫:০৩

দুই ছাত্রীর চুলোচুলি থামাতে গিয়ে ছাত্রীকেই মেরে ফেললেন শিক্ষক

দুই ছাত্রীর চুলোচুলি থামাতে গিয়ে ছাত্রীকেই মেরে ফেললেন শিক্ষক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুই ছাত্রীর মারপিট আর চুলোচুলি থামাতে গিয়ে মারাত্মক বিপত্তি ঘটালেন এক শিক্ষক।  এমন ঘটনা ঘটেছে সাউথ ক্যারোলিনার পূর্বাঞ্চলীয় শহর কিংসট্রির এক সিনিয়র হাইস্কুলে।

ওই স্কুলের সহকারী প্রিন্সিপাল পেছন থেকে এত জোরে একজনের গলা চেপে ধরেন যে, তাতেই মৃত্যু ঘটে ১৫ বছরের সেই ছাত্রীর৷

গত সোমবার পুরো ঘটনাটি জানা যায় সেখানে উপস্থিত একটি ছাত্রের রেকর্ড করা ভিডিও থেকে৷

ভিডিওটিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ওই স্কুলের দু'জন ছাত্রীর মারামারি থামাতে সহকারী প্রিন্সিপাল ৬৯ বছরের ম্যাক বারজেস ও তার সঙ্গে আরো একজন ছুটে এসেছেন৷

ম্যাক বারজেস ছাত্রীটির ঘাড় পেছন থেকে চেপে ধরে তাদের ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন৷ কিন্তু এত জোরে চেপে ধরেন যে, পরক্ষণেই মেয়েটিকে লুটিয়ে পড়তে দেখা গেল৷

কিছুক্ষণের মধ্যেই আশপাশ থেকে কেউ চিৎকার করে উঠল, ‌‘She out! She out! She out!’! মৃত ছাত্রীর মা ইয়োলন্ডা নেস্মিথ মেয়ের মারামারি করার কথা অস্বীকার করে ঘটনার দায় সম্পূর্ণরূপে বারজেসের ওপর চাপিয়েছেন৷

তিনি জানিয়েছেন, সোমবার স্কুল থেকে কল করে তাকে জানানো হয় যে, তার মেয়ে স্কুলে মারামারি করছিল এবং সহকারী প্রিন্সিপাল তার গলা টিপে দিয়েছেন৷ জোরে ঘাড় চেপে ধরার দরুণ ছাত্রীটির মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলেও জানান তিনি৷

বৃহস্পতিবার ইয়োলন্ডা নেস্মিথ কিংগসট্রির ওই স্কুলে যান এবং সহকারী প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলেন৷ তাকে নিজের দোষ স্বীকার করতে বলেছিলেন মৃতা ছাত্রীর মা৷

ম্যাক বার্জেস তা মানতে চাননি৷ এরপরই ইয়োলন্ডা নেস্মিথ কিংগস্ট্রি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। উইলিয়ামসবার্গ কাউন্টি ম্যাজিস্ট্রেট উইলিয়াম ড্রিগার্স ভিডিওটি দেখেন ও পুলিশকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে বলেন৷

বিচারকের মতে, সহকারী প্রিন্সিপাল ম্যাক বার্জেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ ভিডিওটিতে রয়েছে৷

কান্নায় ভেঙে পড়ে মৃতা ছাত্রীর মা ইয়োলন্ডা নেস্মিথ। তিনি জানিয়েছেন, বারজেসের কৃতকর্মের যথাযথ বিচার চান তিনি৷
৮ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে