আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অঙ্ক কষতে গিয়ে বিমানে আতঙ্ক ছড়ালেন অর্থনীতির অধ্যাপক। তাঁর বিরুদ্ধে নাশকতার ছক কষার অভিযোগ আনলেন সহযাত্রী। তার জেরে ২ ঘণ্টা বিলম্বিত হল উড়ান।
গত বৃহস্পতিবার আমেরিকার ফিলাডেলফিয়া থেকে সাইরাকিউজ যাওয়ার বিমানে অযথা হয়রানির মুখে পড়লেন পেনিসিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক গিদো মেনজিও। এয়ার উইসকন্সিন সংস্থার বিমানে বসে কঠিন গাণিতিক সমীকরণ সমাধানে তিনি ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু তাঁর পাশের আসনে বসা এক নারী সহযাত্রীর ধারণা হয়, তিনি বিমানের সুরক্ষা সংক্রান্ত কোনো গোপন কোড খোঁজার চেষ্টা করছেন। নিজের সন্দেহের কথা চিরকুটে লিখে বিমানকর্মীর হাতে দেন ওই নারী। সেই সঙ্গে জানান, পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে তিনি অসুস্থ বোধ করছেন।
নারী যাত্রীর পাঠানো চিরকুট পড়ে টেক অফের জন্য তৈরি বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ করে দেন চালক। নারীকে বিমান থেকে নামানোর পর অধ্যাপক মেনজিওকে জেরা করেন সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার এক আধিকারিক। প্রশ্নের উত্তরে অর্থনীতিবিদ জানান, বিমানে বসে তিনি একটি গাণিতিক সমীকরণের সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছিলেন। সম্ভাব্য উত্তরগুলি তিনি একটি কাগজে লিখে রাখছিলেন। প্রমাণ হিসাবে সেই কাগজের টুকরো তিনি গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দেন।
অধ্যাপকের জবাব শুনে এবং তাঁর দাখিল করা লেখনী দেখে যাবতীয় সন্দেহের নিরসন ঘটে। কিন্তু এর মধ্যে ২ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ায় হয়রানির মুখে পড়েন যাত্রীরা। ঘটনার জেরে সরকারি মুখপাত্র কেসি নর্টন জানিয়েছেন, প্রশাসনিক আইন মেনেই অসুস্থ নারীকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁর আনা অভিযোগের তদন্ত করা হয়েছে।
ফেসবুকে নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে অধ্যাপক গিদো মেনজিও জানিয়েছেন, 'ঘটনাটি কিছুটি হাস্যকর এবং উদ্বেগেরও বটে। ভদ্রমহিলা আমাকে এক ঝলক দেখে এবং কাগজের ওপর লেখা সাঙ্কেতিক গাণিতিক সূত্র নজর করে আমায় জঙ্গি ঠাউরে বসলেন।-এই সময়
৯ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ