শুক্রবার, ১৩ মে, ২০১৬, ০৩:২৮:৪৭

‘বিশ্ব মুসলিম শহর’ বানাচ্ছে চীন, থাকছে ইসলামিক স্থাপনা

‘বিশ্ব মুসলিম শহর’ বানাচ্ছে চীন, থাকছে ইসলামিক স্থাপনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কমিউনিস্ট শাসিত চীনে মুসলমানরা বরাবরই নির্যাতনের শিকার। দেশটির ইসলাম বিদ্বেষী এই অবস্থানের কারণে বিশ্বব্যাপী কড়া সমালোচনাও শুনতে হচ্ছে। তবে এবার সেই খলঙ্ক ঘোচাতে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে বেইজিং।

দেশটির রাজধানী বেইজিং থেকে ৬০০ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত ইনচুয়ান শহরটি চীনা হুই মুসলিম শাসিত নিংজিয়া প্রদেশের রাজধানী। শহরটিকে ‘বিশ্ব মুসলিম শহরে’ রূপ দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে চীন।

এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রায় ৩৫০ কোটি ডলার ব্যয়ে শহরটিতে  মসজিদ সদৃশ রাজকীয় ভবন, আরবী অক্ষরে লিখিত পথ নির্দেশিকা এবং এক হাজার এক আরব্য রজনীর অনুকরণে আলোকসজ্জা ও ডান্স শো পরিবেশিত থিম পার্ক নির্মাণ করছে চীন।

আরব দেশগুলোর সাথে সম্পর্কোন্নয়নের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চীনা-আরব ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে এই থিম পার্কটি তৈরি করছে চীন সরকার।

দেশটির মুসলিম নাগরিকদের ওপর চালানো দমন-পীড়নের জন্য বরাবরই চীন সমালোচিত হয়ে আসছে। বিশেষ করে জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত তুর্কি ভাষী উইঘুর মুসলিমরা চীনা সরকারের ব্যাপক নির্যাতনের শিকার। ইসলাম বিদ্বেষী বদনাম ঘোচাতে এবার নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে চীনে ইসলামের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য ব্যাপক বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেইজিং। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত জানুয়ারিতে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে তার দেশের প্রভাব বৃদ্ধির জন্য একটি ‘শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করেছেন।

তবে লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, চীনা নেতারা উইঘুর মুসলিম ভূখণ্ডে এই থিমপার্ক নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। হুই মুসলিমরা উইঘুরদের মতো তুর্কি ভাষী নয়, তারা সাধারণত মান্দারিন ভাষী এবং জাতিগতভাবে সংখ্যাগুরু হান বৌদ্ধদের ঘনিষ্ঠ।  এ কারণে হুইরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা পুলিশি নির্যাতনের শিকার কম হয়।

হুই অধ্যুষিত ইনচুয়ানে থিম পার্ক নির্মাণ করে চীনা নেতারা সরকার অনুমোদিত চীনা ভার্সন ইসলামের দিকে বিশ্বের দৃষ্টি সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আর তাই হাজার বছর ধরে শোষিত-নির্যাতিত একটি জাতিকে কৃত্রিম স্থাপনা দ্বারা মুড়িয়ে নবরূপ দেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত চীনের কম্যুনিস্ট সরকার।
১৩ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে