আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রেমের বিবাহ একেবারেই পছন্দ নয় বাবার৷ নিজের পছন্দ করা ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু মেয়ে রাজি না হওয়ায় ষড়যন্ত্র করে মেয়েকেই খুন করলেন তিনি৷ ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের কাঞ্চিমন এলাকার এমনই একটি ঘটনা ঘটে৷
সীমা গুর্জর নামের তরুণী নিজের পছন্দে বিয়ে করেছিলেন৷ এর পরেই পারিবারিক অশান্তির কারণে আদালতের নির্দেশে তাকে শান্তি নিকেতন আশ্রমে (মহিলা আশ্রম) রাখা হয়৷ নাবালিকা হওয়ায় সীমাকে পরিবারের সঙ্গে পাঠানোর কথা বলা হলে সে যেতে রাজি হয়নি৷ সেকারণেই গত ১৬ ফেব্রুয়ারী তাকে আশ্রমে পাঠান হয়৷
এরপরেই মেয়ে বাড়ি ফেরাতে গত ১৩ মে বাবা কল্যাণ সিং, কারা সাখন গুর্জর ও ভাই আশ্রমে যায়৷ জোর করে সীমাকে বোঝানের পরেও সে কথা না শোনায় তারা ছুরি নিয়ে সীমার উপর হামলা করে৷
সীমার বাবা নাবালিকা মেয়ের পেটে ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকবার আঘাত করে৷ এরই মধ্যে কাকা লাখন গুর্জর সীমাকে গুলি করে৷ সেসময়ই নারী নিকেতনে উপস্থিত এক বৃদ্ধ হামলাকারীকে ধরে ফেলেন৷ যদিও হামলাকারী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷
রক্তাক্ত অবস্থায় সীমাকে তড়ঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ৷ সিসিটিভি ফুটেজে পাওয়া ভিডিও দেখে তারা সীমার বাবা, কাকা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে৷ যদিও অভিযুক্তরা আপাতত পলাতক৷
১৪ মে, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই