আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার কালনায় গঙ্গা নদীতে ফেরি দুর্ঘটনায় বহু মানুষ নিখোঁজ হওয়ায় ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
কালনায় একটি মন্দিরে বার্ষিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফেরার পথে শনিবার রাত ১২ টার দিকে ফেরি দুর্ঘটনা ঘটলে অনেক পুণ্যার্থী নিখোঁজ হয়। রাতেই উদ্ধারকাজ শুরু হলেও ঘোর অন্ধকারের ফলে উদ্ধারকাজ বেশিদূর এগোয়নি। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠায় ওই নৌকাটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
আজ রোববার সকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নতুন করে ডুবুরি এবং উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজ শুরু করতে গেলে গাফিলতির অভিযোগে নদিয়ার শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ঘাটে উত্তেজিত জনতা বেশ কয়েকটি নৌকায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
ক্ষুব্ধ মানুষজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া শুরু করলে কার্যত দুই পক্ষের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে গেলে উত্তেজিত জনতার আক্রমণে শান্তিপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর মুহাম্মদ ইলিয়াসের মাথা ফেটে যায়। ওই পুলিশ কর্মকর্তার মাথায় ইটের আঘাত লেগেছে।
এ ঘটনায় কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানোর পাশাপাশি পুলিশকে শূন্যে গুলি ছুঁড়তে হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে কমব্যাট ফোর্স এবং বেশ কয়েকটি থানার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনার জেরে বর্ধমানের কালনা এবং নদিয়ার শান্তিপুরের মধ্যে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
একটি সূত্রে প্রকাশ, ভবা পাগলা’র উৎসব উপলক্ষে কালনা ফেরি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় প্রত্যেক বছর মেলা বসে। গতকাল রাতে মেলা থেকেই ফিরছিলেন শান্তিপুরের বহু বাসিন্দা তথা পুণ্যার্থী।
প্রতিবছর বৈশাখ মাসের শেষ শনিবার ভবা পাগলার ভবানী মন্দিরে বার্ষিক উৎসব হয়। এতে যোগ দিতে কয়েক হাজার মানুষ নদিয়া থেকে খেয়া পার হয়ে কালনায় আসেন। বাড়ি ফেরার পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা। সূত্র : পার্স টুডে
১৫ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম