আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রথমে ঘোরটা কাটছিল না এরিক স্যাডিউনিকের। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না তিনি। ওদিকে পাইলট সমানে ঘোষণা করে চলেছেন। বিমানের সব যাত্রী তার দিকে তাকাচ্ছেন আর হাসছেন।
কেউ কেউ শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এরিকের পাশেই বসে ছিলেন স্ত্রী লিসা। তিনিও মুচকি মুচকি হাসছেন।
লাস ভেগাস থেকে ছুটি কাটিয়ে ফিরছিলেন এরিক ও লিসা। ভেগাসে ক্যাসিনোতেও ছিলেন। কিন্তু কিছুই জিততে পারেননি এরিক।
পেনসিলভেনিয়ার বাড়িতে ফেরার জন্য বিমানে উঠেন। বিমান রানওয়ে ধরে ছুটতে আসার আগে পাইলটের হড়হড়িয়ে ঘোষণা।
এরিক ও লিসার সিট নম্বর দিয়ে ঘোষণাটা করেছিলেন পাইলট। বিশ্বাস করতে পারছিলেন না এরিক যে, তিনি বাবা হতে চলেছেন। লিসা যে সন্তানসম্ভবা তা এরিক টেরই পাননি।
লিসা যে ভেগাসেই দু’বার ইউরিন প্রেগনেন্সি টেস্ট করেছেন তাও এরিকের অগোচরে ছিল। পাইলট রানওয়ে ধরে ছোটার আগেই লিসার নাম করে নোটটি পড়ছিলেন। এত আনন্দ এরিক আর ধরে রাখতে পারেননি।
পাশে বসে থাকা লিসাকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে ভাসছিলেন এরিক। আসলে রূপসী লিসা চেয়েছিলেন এরিককে একটি অসাধারণ সারপ্রাইজ দিতে। তাই বিমানবালাদের মাধ্যমে ককপিটে পাইলটকে ম্যানেজ করেন। পাঠিয়ে দেন তার একটি নোট।
তাতে লেখা ছিল তিনি ও এরিক মা-বাবা হতে চলেছেন। লিসা যে সত্যি এরিককে অসামান্য সারপ্রাইজ দিয়েছিলেন তাতে কিন্তু সন্দেহ নেই।
১৫ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম