আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জখন একের পর এক বোমা ফাঁটিয়ে যাচ্ছেন তখন কি আর প্রতিবেদশিরা বসে থাকতে পেরেন? তাই এবার তারাও হাতে নিয়েছে নয়া উদ্ধেগ। সেই হিসেব দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র আগামী মাসে যৌথভাবে তাদের প্রথম ক্ষেপনাস্ত্র বিরোধী সামরিক মহড়া চালাতে যাচ্ছে।
পারমানবিক ক্ষমতাধর দেশ উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবেলায় তারা এটা করতে যাচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার এতো বাড়া বাড়ি আর মেনে নেয়া যায় না। তাদের কাছে যদি শক্তি থাকে আমাদের কাছেও আছে। তাই এবার আমরা তা প্রদর্শণ করতে চাই। সোমবার সিউলের এক কর্মকর্তা একথা জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে নৌ মহড়া শুরুর প্রাক্কালে সিউলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী ২৮ জুন হাওয়াইয়ের কাছের জলসীমায় তারা এ সামরিক মহড়া চালাবে।’
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, এ সামরিক মহড়ায় উত্তর কোরিয়ার একটি কাল্পনিক ক্ষেপনাস্ত্রের গতিপথ খুঁজে বের করার চেষ্টা চালানো হবে। তবে মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথে বাধা সৃষ্টি করার মতো কোন অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না।’
ওই মহড়া চালানোর সময় যুক্তরাষ্ট্র একটি নমুনা ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে একটি বিমান ব্যবহার করবে। সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়া তিনটি দেশ ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা থাকা যুদ্ধ জাহাজ থেকে এটি পর্যবেক্ষণ করবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে উত্তর কোরিয়া দূর পাল্লার রকেট উৎক্ষেপনের পর অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সামরিক বৈঠকে আসন্ন এ সামরিক মহড়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।
১৬ মে, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই