শুক্রবার, ২০ মে, ২০১৬, ১১:০৪:০৩

মিসরের সেই বিমান বিধ্বস্ত, ৬৬ আরোহীর সবাই নিহত

মিসরের সেই বিমান বিধ্বস্ত, ৬৬ আরোহীর সবাই নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্যারিস থেকে কায়রো যাওয়ার পথে নিখোঁজ হওয়া মিসরিয় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে থাকা ৬৬ আরোহীর সবাই এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে মিসর বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা দেখতে পাচ্ছে দেশটি। গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের কছে বিমানের কিছু ধ্বংসাবশেষ দেখতে পেয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
 
মিসরের বিমানটি ধসে পড়ার আগে আকাশে দুইবার চক্কর খেয়েছিল বলে জানিয়েছেন গ্রিসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পানোস কামেনোস। তিনি বলছেন, এয়ারবাস এ৩২০ বিমানটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবার আগে ৯০ ডিগ্রি বামে, আর ৩৬০ ডিগ্রি বামে ঘুরে দুইবার চক্কর বা ডিগবাজি খায়। এরপরে বিমানটি বিশ হাজার ফিট ওপর থেকে ভূমধ্যসাগরে খসে পড়ে। গ্রিসের কার্পাথোস দ্বীপের কাছে বড় ধরনের তল্লাশি অভিযানের প্রস্তুতি চলছে। গ্রিস আর মিসরের সেনাবাহিনী এই তল্লাশিতে অংশ নিচ্ছে। বিমান আর জাহাজ পাঠাচ্ছে ফ্রান্সও।
 
মিসরের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী শেরিফ ফাথাই বলেছেন, আমি এখনি নিশ্চিত করে কিছু বলবো না, তবে আপনারা যদি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন, তাতে এই ঘটনার পেছনে সন্ত্রাসী হামলা বা এ ধরনের সম্ভাবনাই বেশি। বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, কায়রো সময় রাত আড়াইটায় মিসরের আকাশসীমায় প্রবেশের আগমুহূর্তে তাদের এয়ারবাস এ৩২০ বিমানটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিমানটিতে তিনটি শিশুসহ ৬৬ জন যাত্রী ছিলেন। এছাড়া সাত জন ক্রু ও তিনজন নিরাপত্তা কর্মী ছিলেন।

যাত্রীদের মধ্যে ৩০ জন মিসরের, ১৫ জন ফ্রান্সের ও দুজন ইরাকি ছাড়াও ব্রিটেন, কানাডা, বেলজিয়াম, কুয়েত, সৌদি আরব, আলজেরিয়া, সুদান, চাদ ও পর্তুগালের নাগরিক রয়েছেন। এমএস ৮০৪ বিমানটি যখন পূর্ব ভূমধ্যসাগরের ৩৭ হাজার ফুট ওপর দিয়ে যাচ্ছিলো।

কর্মকর্তারা জানান কায়রো সময় ২টা ৪৫ মিনিটে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় ওই উড়োজাহাজটি মিসরের আকাশসীমা থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে আকাশে উড়ছিলো।
২০ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে