আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জেল থেকে বেরিয়ে এসেই দেশছাড়ায় যেন নতুন বিতর্ক উস্কে দিলেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ৷ তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে ইংল্যান্ড৷ দেশ ছেড়ে বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন মালদ্বীপের এই সাবেক প্রেসিডেন্ট৷ এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাশিদের আইনজীবী৷ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইংল্যান্ড সরকার৷ মোহাম্মদ নাশিদের দেশত্যাগের ঘটনায় তীব্র আলোড়িত মালদ্বীপ৷ এই দ্বীপরাষ্ট্রের গরম রাজনৈতিক ঢেউ ধাক্কা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও৷
মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুমের তিন দশকের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছিলেন মোহাম্মদ নাশিদ৷ ২০০৮ সালে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট হন৷ ২০১২ সালে এক বিচারককে গ্রেপ্তারের আদেশ দেয়ার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি৷ আর এই অপরাধে নাশিদকে আটক করা হয়। কয়েকমাস পরে গণ বিক্ষোভ ও সেনা বিদ্রোহের কারণে পদত্যাগ করেন নাশিদ। খবর কলকাতা।
এবার ক্ষমতায় আসেন সাবেক স্বৈরশাসক মামুন আব্দুল গাইয়ুমের সৎভাই আব্দুল্লা ইয়ামিন৷ তার নির্দেশে ১৩ বছরের কারাদণ্ডের সাজা হয় মোহাম্মদ নাশিদের৷ তবে চিকিৎসার জন্য তাকে ইংল্যান্ডে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল মালদ্বীপ সরকার৷ আর ইংল্যান্ডে পৌঁছেই রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিলেন তিনি৷
বিবৃতি দিয়ে নাশিদ জানান, 'সরকার বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যেতে দেশত্যাগী হওয়া খুবই জরুরি ছিল৷ তবে তারা আমাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। এখানে থেকেই আমি তাদের পতন ঘটাবো'।
তবে এমন ঘটনায় চিন্তিত মালদ্বীপ সরকার৷ জলদি দেশে ফিরে না এলে সাবেক প্রেসিডেন্টের পেনশন ও আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে দেয়া হবে বলেই হুমকি দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন।
২৪ মে, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই