আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রক্ত সম্পর্কের কোনো আত্মীয় তার হাত থেকে বাঁচতে পারেননি৷ দেশের ক্ষমতায় নিজের আসন বজায় রাখতে বিভিন্ন অজুহাতে আত্মীয়দের নৃশংস ভাবে হত্যা করে শাস্তি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক শাসক কিম জং উন৷
তবে সেই তালিকায় থাকা একমাত্র খালাকে হাতের কাছে পেলেন না এই ‘পাগল শাসক’৷ বিভিন্ন মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের দাবি, উত্তর কোরিয়ার সর্বচ্চ শাসকের খালা নিউইয়র্কে একটি ধোপাখানার মালিক৷ প্রতিদিন অনেক কাপড়-জামা ড্রাই ক্লিনিং করিয়ে বাড়িবাড়ি পৌঁছে দেয়ার ব্যবসাই নাকি করছেন কিম ঊনের খালা কো জং সুক৷
১৯৯৮ সালে উত্তর কোরিয়া ছেড়ে সুইজারল্যান্ডে চলে এসেছিলেন তৎকালীন সর্বময় শাসক কিম জং ইলের স্ত্রীর ছোটবোন৷ তখন তার নাম ছিল কো জং হুই৷ বড়বোন জামায়ের নির্দেশে শাসক পরিবারের সদস্যদের দেখাশোনা করতেই স্বামীসহ সুইজারল্যান্ডে পাঠানো হয়েছিল হুইকে৷ তারপর আর দেশে ফেরা হয়নি তার৷
তখন ইউরোপ থেকে সোজা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন কো জং হুই ও তার স্বামী রি গ্যাঙ৷ নাম ভাঁড়িয়ে নিউইয়র্কে খোলেন ধোপাবাড়ি৷ তিন সন্তানকে নিয়ে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার রগচটা শাসকের এই খালা। মার্কিন পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কিমের খালা জানিয়েছেন, ছোটবেলায় ও খুব তাড়াতাড়ি রেগে যেত৷ সে খুব বাস্কেটবল খেলার ভক্ত৷ এমনকি ঘুমানোর সময় পাশে বাস্কেটবল রাখতেন৷
সিআইএ-র কারণেই কিম জংয়ের খালা-খালু আমেরিকায় আসতে পেরেছিলেন৷ যার হুঙ্কারে ওয়াশিংটনে হই হই পড়ে যায়৷ সেই কিম জং ঊনের খালাতো ভাইরা কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ চাকরিজীবী৷
২৮ মে, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই