আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তথ্য-প্রযুক্তির এই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্বে রকমফের এসেছে। ফেসবুকের মত মিডিয়ার কল্যানে বন্ধুর সংখ্যাও এখন শত শত নয়, হাজার হাজারে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু এসব বন্ধু আসলে কতটা কাজে দেয়, একাকীত্ব ঘুচাতে তারা কতটা সহায়ক, তারই এক করুণ কাহিনী বর্ণনা করেছেন ২৮ বছর বয়সী লেখিকা স্টেভি মার্টিন।
ডেইলি মেইলে তিনি লিখেছেন, ছেলেবেলায় বন্ধুত্ব গড়ার জন্য আমরা টিফিনের সময়টাকে কাগে লাগাতাম। এরপর কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায়ও আমার বন্ধু ছিলেন অনেকে। কিন্তু ক্যারিয়ারের ইদুর দৌড়ে তারা এখন যারপরনাই ব্যস্ত। বন্ধুকে এতোটুকু সময় দেয়ার সময় নেই তাদের।
এই বয়সে তো বন্ধু দরকার। বন্ধু থাকার মত যোগ্যতাও আমার আছে। কিন্তু এখন ভার্চুয়াল বন্ধুত্বের যুগে দিনকাল যে পাল্টে গেছে। আমার একুশতম জন্মবার্ষিকীতে পুরো ইউনিভার্সিটি পানাহারে মেতে উঠেছিল। কিন্তু গতবছর ২৭ তম জন্মদিন থেকেই আমি বন্ধুর খরা অনুভব করতে শুরু করি।
অথচ ২৬তম জন্মদিনেও আমার অন্তত ৩০ জন বন্ধু সমবেত হয়েছিলেন। তারপর কেটেছে মাত্র ১৮ মাস। গত শুক্রবার যদিও আমার জন্মদিন ছিল না কিন্তু তিনি একাকী রাত জেগে টিভি দেখেছি। কখনো কখনো সঙ্গ দিয়েছে ফ্লাটের আরেক বাসিন্দা।
এখন আমি মাসে একবার কর্মস্থলের বন্ধুদের নিয়ে পানাহার করি। কিন্তু এক ঘণ্টা যেতে না যেতেই তারা সটকে পড়ার বাহানা খুঁজতে থাকে। সপ্তাহান্তে কারো সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য কাউকে খুঁজে পাই না আমি। গত আটটি সপ্তাহ আমার এভাবে কেটেছে।
সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তনমূলক মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক রবিন ডানবার এক গবেষণায় দেখিয়েছেন যে গড়ে প্রতিটি লোকের ফেসবুক ফ্রেন্ড ১৭০ জন। কিন্তু কোনো বিপদাপদে তাদের মাত্র ১৪ জন উদ্বেগ প্রকাশ করে।
আমার ফেসবুকে এখন ৭০০ ফ্রেন্ড। তারা লাইক দেয়ার সময় পেলেও সঙ্গী হয়ে দুঘণ্টা কফির আড্ডায় মেতে উঠতে রাজি নয়।
২৯ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম