আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সব পরীক্ষাতেই কিছু ছাত্র-ছাত্রী ফেল করে, এটা কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা না। কিন্তু গোটা স্কুলের সব ছাত্র-ছাত্রীই সরকারি বোর্ডের পরীক্ষায় ফেল করছে, এটা আশ্চর্যজনকতো বটেই।
আর একটা বা দুটো নয়, ৭৩টি স্কুলের সব ছাত্র-ছাত্রীই যখন পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়, তখন সেটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মনিপুরের স্কুল শিক্ষা দপ্তর।
দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় এ বছর রাজ্য সরকার পরিচালিত ৭৩টি স্কুলের কোনও ছাত্র-ছাত্রীই পাশ করতে পারেনি।
আর ২৮ টি এমন স্কুল আছে, যেখান থেকে মাত্র একজন ছাত্র বা ছাত্রী পাশ করেছে।
কয়েকদিন আগে দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরে দেখা গেছে রাজ্য সরকার পরিচালিত ৩২৩টি হাই স্কুলের ছাত্রী-ছাত্রীদের পাশের হার ৪২%।
তবে এই প্রথম নয়। গত বছর ৭০টি স্কুলের এরকম ফল হয়েছিল, তার আগে ২০১৪ সালে ৪৮টি আর ২০১৩ সালে ২৮টি স্কুলের কোনো ছাত্র-ছাত্রীই পাশ করতে পারেনি।
মনিপুরের শিক্ষা মহলে সরকারী স্কুলের পঠন পাঠনের মান নিয়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।
স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক প্রবীণ সিং বলছিলেন, “এই জঘন্য ফলাফলের জন্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের দায় যে অনেকটাই, সেটা স্বীকার করতেই হবে। তারা বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের থেকে অন্তত তিনগুণ বেশি বেতন পান, অথচ পাশের এই হার"!
শুধু শিক্ষকদের দোষ দিয়ে লাভ নেই, অভাব পরিকাঠামোরও-এমনটা মনে করছে মনিপুরের স্কুল শিক্ষা দপ্তর।
“সরকারি স্কুলগুলোর পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। বেশ কিছু জুনিয়র স্কুলকে অতি সম্প্রতি হাই স্কুলে উন্নীত করা হয়েছে, পরিকাঠামো এখনো তৈরি করা যায়নি। আর সরকারি স্কুলগুলোতে এখন যারা পড়তে আসে, তারা বেশিরভাগই নিম্নবিত্ত পরিবারের। বাড়ি বা অভিভাবকদের সাহায্য তারা পায় না বললেই চলে। সেজন্যও ফল খারাপ হয়,”- বলছিলেন প্রবীন সিং।
সরকারি স্কুলগুলোর এই অভাবনীয় ফলাফল নিয়ে রাজ্য জুড়ে শোরগোল ওঠার পরে স্কুল শিক্ষা দপ্তর এখন নড়েচড়ে বসেছে। তারা বিশ্লেষণ করছে যে কেন এই ফলাফল হলো।
২৯ মে, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/শান্ত/মো:শাই