আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেত্রী সাধ্বী প্রাচি ‘মুসলিম মুক্ত ভারত’ গড়ার ডাক দেয়ার প্রতবাদে তার বিরুদ্ধে পাঞ্জাব এবং কেরালায় পৃথকভাবে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে, এই ইস্যুতে বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মির বিধানসভা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্যারিস টুডের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
সাধ্বী প্রাচি সম্প্রতি বলেন, আমরা ‘কংগ্রেস মুক্ত ভারত’ অভিযান সম্পূর্ণ করেছি। এবার দেশকে মুসলিম মুক্ত করার সময় এসেছে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।’
এদিন, প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় নির্দলীয় বিধায়ক শেখ আব্দুল রশিদ এই ইস্যুতে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানান। কংগ্রেস সদস্যরা তাকে সমর্থন করে সাধ্বী প্রাচির মন্তব্যের নিন্দা জানান। গত বুধবারও এই ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা।
কংগ্রেস বিধায়ক জি এম সারুরি বলেন, ‘মুসলিম মুক্ত ভারত আসলে কী? ওরা কি তাহলে ২০০২-এর গুজরাট দাঙ্গার পুনরাবৃত্তি করতে চাচ্ছে?’
বিরোধী বিধায়কদের প্রশ্নের মুখে পড়ে বিজেপি নেতা এবং রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী নির্মল সিং বলেন, ‘ওই মন্তব্য সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে, তাই এ ধরণের বিবৃতিতে মন্তব্য করা ঠিক নয়।’ নির্মল সিং বলেন, ‘ভারত একটি সেক্যুলার দেশ। এখানে নাস্তিকসহ সমস্ত ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে।’ বিজেপি নেতা নির্মল সিং অবশ্য সাধ্বীর বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো নিন্দাসূচক মন্তব্য করেননি।
এদিকে, ‘হিউম্যান এম্পাওয়ারমেন্ট লিগ অব পাঞ্জাব’ নামে এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী পারভিন্দর কিটনা সাধ্বী প্রাচির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষপ নেয়ার দাবি তুলেছেন। অভিযোগের সঙ্গে সাধ্বী প্রাচির বিতর্কিত বক্তব্য সম্বলিত ইউটিউবের একটি লিঙ্কও দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, কেরালার ত্রিবান্দ্রমে রাহুল ঈশ্বর নামে এক ব্যক্তি সাধ্বী প্রাচির বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাধ্বী প্রাচির মন্তব্য সহ্য করার মতো নয়। এরফলে দেশে নেতিবাচকতা সৃষ্টি হবে। আমি চাই সাধ্বী প্রাচিকে গ্রেফতার করে কিছুদিন কারাগারে রাখা হোক। সাধ্বী প্রাচি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছেন।’ তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ এবং ২৯৫ এ ধারা মোতাবেক পদক্ষেপ নেয়ার দাবিও করেছেন রাহুল ঈশ্বর।
১০ জুন, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই