আন্তর্জাতিক ডেস্ক :সৌদি আরবকে কালো তালিকা থেকে বাদ দেওয়া না হলে জাতিসংঘের তহবিলে কোন রকম অর্থ না দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল বেশ কয়েকটি শক্তিশালী দেশ। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন জানান, অপ্রত্যাশিত ও অনৈতিক চাপের সম্মুখীন হয়ে সৌদি জোটকে কালো তালিকা থেকে বাদ দেবার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
তবে, বান কি মুনের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে সৌদি আরব। ইয়েমেনে চলমান সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব জোটের অভিযানে শিশুর অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে তালিকাভুক্তির এক সপ্তাহের মাথায় সাময়িকভাবে সৌদি আরবের নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়।
২০১৫ সালে ইয়েমেনের ৬০ ভাগ শিশুমৃত্যুর জন্য দায়ী আরব জোট। গেল গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, গত এক বছরে দেশটিতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের এই অভিযানে অন্তত ৫১০ শিশু নিহত ও আহত হয়েছে আরও ৬৬৭ শিশু। এতে বলা হয়, জোটের অধিকাংশ বিমান হামলার লক্ষবস্তু ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল।
এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, ইয়েমেনে শিশু অধিকার সংরক্ষণ না করার অভিযোগে সৌদি আরবকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল জাতিসংঘ। তবে মাত্র এক সপ্তাহ পর গত সোমবার সৌদি আরবের নাম সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। তবে, এই ইস্যুতে অনৈতিক চাপের সম্মুখীন হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। তিনি জানান, সৌদি আরবকে কালো তালিকা থেকে বাদ দেওয়া না হলে জাতিসংঘ তহবিল কোন রকম অর্থ না দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল বেশ কয়েকটি শক্তিশালী দেশ।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেন, আমাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইয়েমেনের শিশুর প্রতি সহিংসতার এক ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছিল।
তবুও সৌদি আরবকে কালো তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে স্থগিতের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও আমাকে সেই কঠিন কাজটি করতে হয়েছে। যা ছিল আমার জন্য খুবই কষ্টকর। জাতিসংঘের ওপর চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সৌদি আরব।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সৌদি দূত আব্দুল্লা আল মোয়ালি্লমি বলেন, সৌদি আরব ও কয়েকটি দেশের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের ওপর চাপ সৃষ্টির যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। এটা আমাদের সংস্কৃতিও নয়।
সৌদি আরবকে কালো তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। বিশ্বের ২০টি মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে জাতিসংঘ মহাসচিবকে লেখা এক চিঠিতে এ দাবি জানায় তারা।
১১জুন২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/আরিফ/এমএম