আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের বিহারের মুকেশ ও আশা দেব, সম্পর্কে দু’জনে জামাই-শাশুড়ি। কিন্তু তাদের মধ্যে প্রেম ও ভালোবাসা এতটাই গভীর হয়ে গিয়েছে যে দু’জনে একের অপরকে চোখে হারায়৷ নিজেদের ভালোবাসাকে সামাজিক স্বীকৃতি দিতেই বিয়ের পথই বেছে নেন অসমবয়সী এই প্রেমিক যুগল৷
ভারতের ইংরেজি একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ১৯ বছরের ললিতার বিয়ে হয় সুরজ নামে এক যুবকের সঙ্গে ৷ গত দু’বছর ধরে সুখেই কাটছিল তার জীবন৷ কিন্তু জামাইয়ের শরীর খারাপ হওয়ায় মেয়ের বাড়িতে তাকে সাহায্য করতে যায় মা আশা৷ আর সেখান থেকেই ঘটে বিপত্তি ৷
জানা গিয়েছে, মেয়ের বাড়িতে গিয়ে জামাইয়ের সেবা শুশ্রুষা করতে শুরু করেন আশা৷ আর সেখান থেকেই দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে শুরু করে ৷ সূত্রের খবর, ‘আশা মেয়ের বাড়ি থেকে ফিরে গেলেও জামাইয়ের সঙ্গে তার প্রেম পর্ব চলতে থাকে৷ ঘণ্টার পর ঘণ্টা একের অপরের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে থাকেন৷
আশার স্বামী কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকে৷ তাই বিবাহ-বহির্ভূত এই সম্পর্ক বজায় রাখতে তাদের দু’জনের কোনও অসুবিধায় হয়নি৷ মে মাসে কোর্টে গিয়ে আইনিভাবে বিয়ে করেন৷
মেয়ে এই ঘটনা জানতে পেরে গ্রাম পঞ্চায়েতে জানায়৷ এ ঘটনার পর পঞ্চায়েত বসেছিল তাদের বিচার করতে। কিন্তু কিছুই করতে পারেনি। তাদের এই প্রেমের কাছে হার মেনেছে সবাই। পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয় যে ওই প্রেমিক যুগল একে অপরের প্রেমে পাগল৷ তাই তাদের আলাদা করার কোনও কারণ তারা খুঁজে পাচ্ছে না৷
খবর পেয়ে আশার সাবেক স্বামী তার মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসে৷ পুলিশ জানিয়েছে, নব বিবাহিত এই দম্পতি এখন এক সাথেই থাকে৷ এবং তাদের গ্রামের লোকজন এই সম্পর্ককে মেনে নিয়েছে ৷
১৩ জুন ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস