সোমবার, ১৩ জুন, ২০১৬, ০৯:৫০:২৩

নাইটক্লাবের খুনি ওমরের হিংসার শিকার ছিলেন স্ত্রী

নাইটক্লাবের খুনি ওমরের হিংসার শিকার ছিলেন স্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফ্লোরিডার সমপ্রেমী নাইটক্লাবে হত্যালীলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে আইএস।  অরল্যান্ডর বন্দুকধারী ওমর মাতিনের সাবেক স্ত্রী জানিয়েছেন, ওমরের মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল না।  বিয়ের পর থেকে সে স্ত্রীর ওপর অকথ্য অত্যাচার করত বলেও অভিযোগ করেন সাবেক স্ত্রী। 

এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তবে ফ্লোরিডার হত্যালীলার দায় আদৌ আইএসের কি-না তা নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে তখন আলবানিয়ান রেডিয়োয় বেতারবার্তা দিয়ে এ ঘটনার দায় স্বীকার করে নিল আইএস।

একটি বেতারবার্তায় জানিয়েছে, ক্যালিফেটের এক সৈনিক আমেরিকার নিরাপত্তার বেড়াজাল ভেঙে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে সমকামীদের নাইটক্লাবে ঢুকে পড়তে সমর্থ হন।  সেখানে নিজের প্রাণ দেয়ার আগে তিনি শতাধিক মানুষকে হত্যা ও আহত করতে সমর্থ হয়েছেন।

এদিকে ফ্লোরিডার বন্দুকধারী ওমর মাতিনের মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল না বলে জানিয়েছেন তার সাবেক

তিনি জানিয়েছেন, আট বছর আগে তার সঙ্গে ওমরের আলাপ হয় অনলাইনে।  বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রেমে গড়ালে তারা ফ্লোরিডায় গিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।  প্রথম প্রথম সব ঠিকঠাক চললেও কিছুদিন যেতেই পরিস্থিতি পালটে যায়।

তিনি জানিয়েছেন, ও আমাকে খুব মারত।  কোনো কারণ ছিল না।  বাড়িতে ফিরত, তারপরই শুরু হত মারধর।  কোনোদিন কেন কাপড় কাচা হয়নি বা কোনোদিন অন্য কোনো কারণে।

পরিবার আফগানিস্তানের বাসিন্দা হলেও মতিনের জন্ম নিউইয়র্কে বলে জানিয়েছেন তার সাবেক স্ত্রী।

তিনি জানান, প্রথম প্রথম তিনি তার প্রাক্তন স্বামীকে ধর্মের প্রতি মনোযোগী হতে দেখেননি।  বরং ওমর নাকি অনেক বেশি পছন্দ করতেন জিমে যেতে।  

পরের দিকে তার মধ্যে কট্টর ইসলামপন্থী ধ্যানধারণা প্রকাশ পায়।  ওমর তার ওপর নির্যাতন করে শুনে তার বাবা-মা তাদের বিয়ে ভেঙে তাকে নিয়ে চলে যান বলে জানিয়েছেন মতিনের স্ত্রী।

মতিন এরপর বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি আর কখনো তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন।

২০১১ সালে ফ্লোরিডা কোর্টে তাদের আইনত বিবাহবিচ্ছেদ হয়।  অরল্যান্ডোর ঘটনা ঘটার পর মতিনের সাবেক স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, আমি এখনো ভাবতে পারছি না।  আমি সত্যিই ভাগ্যবান।

জানা যায়, রোববার হামলার আগে শুক্রবারও স্থানীয় মসজিদে নামাজ পড়েছে ওমর।  ফ্লোরিডার অবস্থিত ইসলামিক সেন্টার ফর ফোর্ট পিয়ার্স’র ইমাম শফিক রেহমান বলেন, সে এখানে নামাজ পড়তে আসতো এবং রাতের বেলায় নামাজ পড়তো।  এরপর সে মসজিদ থেকে চলে যেতো।  সে যখন আসতো সঙ্গে তার পাঁচ বছরের ছেলেটাকেও নিয়ে আসতো।

মসজিদটির মুসল্লি পাকিস্তান বংশোদ্ভূত আখতার কুরেশি (৬৩) বলেন, শনিবারও ওমরের বাবার সঙ্গে একসাথে নামাজ পড়েছেন তিনি।  তিনি সম্ভ্রান্ত পরিবারের শান্তিপ্রিয় একজন মানুষ।  রোববার ভোরেই যখন তিনি পালস নাইটক্লাবে হামলার ঘটনাটি জানলেন, তখন তার বিশ্বাস হচ্ছিল না যে, তার মসজিদেরই একজন সদস্য হামলাটি চালাতে পারে।

কুরেশি বলেন, সে এখানে শুক্রবার রাতে নামাজ পড়তো।  দিনে পাঁচবার আসতো না।  

১৩ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে