আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নারীদের 'অশালীন' পোশাক যে প্রকৃতিকেও যথেষ্ট প্রভাবিত করে, এমন উদ্ভট চিন্তাধারা শুনেছেন কখনও? যিনি এই তত্ত্বের প্রবক্তা, তিনি যে কোনও বিজ্ঞানী বা পরিবেশবিদ নন, তা না বললেও চলে। তাই বলে, এর প্রবক্তাকে 'পাগল' বলে উড়িয়ে দিলেও চলবে না। কারণ, তিনি সৈয়দ ইউসুফ তাবাতাবি নেজাদ, ইস্পাহান প্রদেশের প্রধান মসজিদের খতিবই শুধু নন, ইরানের বয়ঃজ্যেষ্ঠ আলেমদেরও একজন। তা কী মত ইরানের প্রবীণ এই মানুষটির?
'ইরানের শুকিয়ে যাওয়া নদী জায়ানদেহ রাদের পাশে তোলা কিছু যুবতীর ছবি দেখে তো মনে হচ্ছে এটা ইউরোপ! এসব কারণেই একের পর এক নদী শুকিয়ে যাচ্ছে।'কিন্তু, হিজাব না-পরার সঙ্গে নদী শোকানোর সম্পর্ক ঠিক কোথায়, সে ব্যাখ্যা অবশ্য তাঁর কাছে পাওয়া যায়নি। শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায় এই মন্তব্যের সঙ্গেই ইরানের পুলিশকে 'পর্দা বিধান' নিয়ে আরও কঠোর হতে পরামর্শ দেন এই খতিব। বলেন, মেয়েরা পর্দার বিধান মেনে চলতে যাতে বাধ্য হন, তার জন্য অভিযান আরও কঠোর করতে হবে। এ জন্য পুলিশকে উদ্ধুদ্ধ করার চেষ্টাও করেন তাবাকাবি।
মেয়েরা ওয়েব দুনিয়ার আন্তঃজালে বাঁধা পড়ুক, তা-ও চান না এই প্রবীণ। ইন্টারনেটে যাঁরা অশালীনতা ছড়াচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চান ইরানের এই খতিব। যার জন্য সেদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলছেন। রক্ষণশীল, সেকেলে মনের তাবাতাবি অবশ্য মাঝমধ্যেই এমন উলটোপালটা বকেন। যে মানুষটি মনে করেন, মেয়েদের বাড়ির বাইরে পারাখাই অপরাধ, তিনি যে মেয়েদের রাস্তায় ঘুরতে দেখলে চটবেন, তা স্বাভাবিক।-এই সময়
১৪ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ