আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টর্চ মেরে দেখা গেল, গাড়ির সিটে পা মুড়ে বসে নিশ্চিন্তে ঘাসপাতা চিবোচ্ছে একটি ছাগল। তার সঙ্গীরা অবশ্য উদ্বেগে সরব। উর্দিধারীদের উদ্ধারকর্তা ভেবে আর্তচিৎকার জুড়েছে।
কেসটা একটু নাড়াচাড়া করতেই পুলিশের চোখ কপালে। গাড়িতে তুলে যাদের খাতির করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সকলকেই চুরি করে আনা হয়েছে। রোববার রাতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার গাইঘাটায় সেই ৭টি চোরাই ছাগলকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধরাও পড়েছে একজন।
ছাগল চুরির চক্রের হদিস মেলাটা পুলিশের কাছেও বেশ নতুন রকম। এ তো আর শীতকালের ছুটিছাটায় পড়শির ছাগল ঝেপে ফিস্টি করা নয়। এ হল রীতিমতো ‘ছাগল চুরি চক্র’! গাইঘাটা থানার প্রবীণ এক পুলিশ কর্মী তো বলেই ফেললেন, ‘এত বছর হয়ে গেল ডিউটি করছি। প্রতিবেশীর ছাগল চুরি করায় হাতাহাতি, মারামারি, মায় খুনোখুনি পর্যন্ত হতে দেখেছি। কিন্তু গাড়িতে চাপিয়ে ছাগল চুরি করতে শুনিনি কখনও।’
কী ভাবে জানা গেল চুরি-বৃত্তান্ত?
রোববার রাতে যশোর রোড ধরে টহল দিচ্ছিল গাইঘাটা থানার পুলিশ। গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চলছিল। হঠাৎই নজরে পড়ে একটি ছোট গাড়ি দ্রুত গতিতে ছুটে আসছে। সেটিকে দাঁড় করানোর পরে পুলিশ কর্মীরা দেখেন, গাড়ির জানলা দিয়ে অপাপবিদ্ধ চোখে তাকিয়ে কয়েকটি পাঁঠা-ছাগল!
সচরাচর অমন ছোট গাড়িতে করে ছাগল নিয়ে যাওয়া হয় না। গাড়ির ভিতরে টর্চ মেরে দেখা গেল, পিছনের সিটে, চালকের পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আরও কিছু ছাগল। গাড়ি থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, ছাগলগুলি চুরি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওই যুবকদের কাজই হল, ছাগল চুরি!
সব দেখেশুনে এক পুলিশ কর্মকতার সরস মন্তব্য, ‘কত রকম যে পেশা মানুষের। পাঁঠা চুরি করেও লোকে সংসার চালাচ্ছে!’
১৫ জুন ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস