আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৬ বছরের বৈশালী নিজেও ভাবেনি চিঠির উত্তর পাবে। শুধু উত্তরই দেননি, বিনামূল্যে তার হার্ট অপারেশনের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের পক্ষে বৈশালীর চিকিৎসা করানো সম্ভব ছিল না। কারণ অপারেশনের জন্য দরকার ছিল ৩ লাখ টাকা। “কোথায় পাব এত টাকা! আমরা তো হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম”, বলছিলেন বৈশালীর কাকা প্রতাপ যাদব। কিন্তু, হাল ছাড়েনি ৬ বছরের বৈশালী। টেলিভিশনে দেখে একদিন নিজেই চিঠি লেখে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে।
চিঠিতে সে কী লিখেছিল?
ক্লাস টুয়ের ছাত্রী বৈশালী তার লেখা চিঠিতে নিজের অসুখের পাশাপাশি পারিবারিক সামর্থ্যের কথাও উল্লেখ করেছিল। নিজের স্কুলের ঠিকানা ও পরিচয়পত্রও জানাতে ভোলেনি সে।
আর চিঠি পাঠানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই জবাব আসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে(PMO)। সেখান থেকে যোগাযোগ করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের কথা জানিয়ে দেওয়া হয় পুনে জেলা প্রশাসনকে। তারাই খুঁজে বের করে বৈশালীর পরিবারকে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশমতো জেলা প্রশাসন ২ জুন ছাত্রীটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ৪ জুন সফলভাবে অপারেশন হয় তার। আর এখন সুস্থই রয়েছে বৈশালী।
তবে সত্যিই যে এটা হয়েছে, তা যেন এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না ওই নাবালিকার পরিবারের লোকেরা। কিন্তু, তারা বিশ্বাস করতে না পারলে কী হবে! বৈশালী যে এখন সুস্থ আছে, হাসছে, এটাই এখন বড় সত্যি।
১৬ জুন ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস