আন্তর্জাতিক ডেস্ক :ছয় মাসের মিশন শেষে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে পৃথিবীতে ফিরেছেন মেজর টিম পিক। সুয়জ ক্যাপসুলে করে মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন আরও দুজন ক্রু সদস্য। তারা কাজাখস্তানে অবতরণ করেন ব্রিটিশ সময় শনিবার ১০টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৩টা ১৫ মিনিট)।
মহাকাশে অবস্থানকালে টিম সেখানে হাঁটাহাঁটি করেন। এর আগে যুক্তরাজ্যের কোনো নভোচারী মহাকাশে হাঁটাহাঁটি করেননি। সেখান থেকে তিনি ভূপৃষ্ঠে একটি রোবোটও পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে মেজর পিক, রুশ নভোচারী ইউরি মেলেনচেঙ্কো ও আমেরিকান নভোচারী টিমোথি কোপরা মহাকাশ স্টেশন থেকে বিদায় নিয়ে রুশ মহাকাশ যান সুয়জ ক্যাপসুলে চড়েন। এই ক্যাপসুলে করে পৃথিবীতে ফিরে আসেন তারা। এর আগে শুক্রবার কর্নেল টিম কোপরা আইএসএসের দায়িত্ব তার নাসা-সহকর্মী জেফ উইলিয়ামের কাছে হস্তান্তর করেন।
মহাকাশ ভ্রমণে তার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে মেজর পিক বলেন, ‘মহাকাশে ছয় মাস কাটানো সত্যিই খুব মজার। সত্যিই বলার মতো কথা আছে, আছে বলার মতো অনেক অবিশ্বাস্য সব অভিজ্ঞতা।’ ক্যাপসুলটির ভূপৃষ্ঠে অবতরণের সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শব্দের চেয়ে ২৫ গুণ বেশি দ্রুতগতিতে ক্যাপসুলটি ধেয়ে আসে পৃথিবী অভিমুখে। পৃথক করে ফেলে বায়ুমণ্ডলে বিরাজমান অণুগুলোকে, আয়োনাইজড হয়ে যায় পরমাণুগুলো। প্লাজমা হয়ে যায় চরম উত্তপ্ত। ক্যাসুলটির বাইরে তখন তাপমাত্রা দাঁড়ায় ২৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্লাজমা স্তর অতিক্রম করার পর যখন ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ দশমিক ৭ কিলোমিটর উচ্চতায় ছিল ক্যাপসুলটি, তখন খুলে যায় প্যারাস্যুট। এতে ক্যাপসুলটির গতি অনেক কমে যায়। এরপর ধীরে ধীরে ভূপৃষ্ঠে অবতরণ করে সুয়জ।
এরপর উদ্ধারকারী দল হেলিকপ্টারে করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্যাপসুলটি থেকে বের করে আনেন নভোচারীদের। তারপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বিশেষভাবে তৈরি একটি তাঁবুতে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭ টা ৩৫ মিনিট) সেখানে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে।-যুগান্তর
২০জুন২০২৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এআর/এমএম