মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৮:৪৬:০০

‘পাঁচ লাখ করে নতুন শরণার্থীর জায়গা দিতে পারবে জার্মানি’

‘পাঁচ লাখ করে নতুন শরণার্থীর জায়গা দিতে পারবে জার্মানি’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর জিগমার গ্যাব্রিয়েল বলেছেন, প্রতিবছর পাঁচ লাখ করে নতুন শরণার্থীর ধাক্কা সামলানোর সামর্থ্য আছে জার্মানির।

ইউরোপ অভিমুখে শরণার্থীদের স্রোত সামাল দিতে ইউরোপীয় কমিশনের নেতারা যখন আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন তখনই জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর এ মন্তব্য করেন।

বর্তমান সঙ্কটে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এক লাখ ৬০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার কথা বলা হচ্ছে, যাদের বেশির ভাগই সিরিয়া থেকে এসেছেন।

বলা হচ্ছে, ইউরোপে যে অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীর যে স্রোত এখন চলছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তা আর দেখা যায়নি।

এই স্রোতের মূল ধাক্কা গিয়ে পড়ছে জার্মানির ওপর।  ২০১৫ অর্থাৎ বর্তমান বছরে জার্মানিতে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা আট লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে, যে সংখ্যা ২০১৪ সালের তুলনায় চারগুণ।

জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর অর্থাৎ দ্বিতীয় শীর্ষ ক্ষমতাধর ব্যক্তি জিগমার গ্যাব্রিয়েল বলছেন, আগামী বেশকিছু বছর ধরে তার দেশ প্রতিবছর অন্তত ৫ লাখ করে শরণার্থীর জায়গা দিতে পারবে।  তাতে কোনো অসুবিধা হবে না।

তবে একইসঙ্গে মি. গ্যাব্রিয়েল বলেন, জার্মানি অর্থনীতি শক্তিশালি বলে ইউরোপের অন্যরা কেউ দায় দায়িত্ব নেবে না, তা হতে পারে না।

এদিকে শরণার্থীর দায়ভার কার কতটুকু হবে- তা নিয়ে ইউরোপজুড়ে যখন মতভেদ তীব্রতর হচ্ছে, সে সময় সিরিয়া এবং সেই সাথে অন্যান্য কিছু দেশ থেকে আশ্রয়প্রার্থীর স্রোত অব্যাহত রয়েছে।

জাতিসংঘের হিসেবে, কেবল সোমবার মেসিডোনিয়াতে রেকর্ড ৭০০০ সিরীয় শরণার্থী হাজির হয়েছে।  সমুদ্র পথে গ্রিসের বিভিন্ন দ্বীপে ৩০,০০০ অভিবাসী এসে হাজির হয়েছে এবং তাদের দ্রুত জার্মানিতে যেতে দেয়ার জন্য বিক্ষোভ করেছে।

এখন পর্যন্ত জার্মানি এসব অভিবাসীদের স্বাগত জানালেও ইউরোপের বহু দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।

হাঙ্গেরি তাদের সঙ্গে সার্বিয়ার সীমান্তে দ্রুত দেয়াল তুলছে।  গ্রিসের একজন মন্ত্রী বলেছেন প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন নতুন অভিবাসীর চাপে দ্বীপটি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

এদিকে ১৬০,০০০ আশ্রয়প্রার্থীর দায় ইউরোপের কোন দেশকে কতটা নিতে হবে, তার একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আগামীকাল ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যক্লদ ইয়ংকার ঘোষনা করবেন।

তবে তার আগেই চেক রিপাবলিক, সোলাভাকিয়া, রোমানিয়াসহ কিছু দেশ সাফ জানিয়েছে তারা বাধ্যতামূলক কোনো কোটা মানবে না।
৮ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে