আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী বা এনএসজির সদস্য ভারত হতে পারবে কি না, তা নির্ভর করছে সংগঠনটির বর্তমান সদস্যদের মতামতের উপর। ৪৮টি দেশকে নিয়ে গঠিত এই সংগঠনের অধিকাংশ সদস্যই ভারতকে সদস্য হিসেবে পেতে চায়। ৫টি থেকে ৮টি দেশের ভূমিকা ভারতের বিপক্ষে যাচ্ছে। দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন দেশ ভারতের বিরোধী এবং কোন কেন দেশের ভূমিকা নিয়ে সংশয় রয়েছে:
চীন : এনএসজিতে ভারতের অন্তর্ভুক্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা এই প্রতিবেশী দেশটিই। ভারত যত দিন না এনপিটি সই করছে, তত দিন কিছুতেই ভারতকে এনএসজিতে ঢুকতে দেওয়া উচিত নয়, মত চীনের। ভারতকে আটকাতে অন্যান্য সদস্যদেরও প্রভাবিত করতে চাইছে চীন।
ব্রাজিল : ভারতের সঙ্গে ব্রাজিলের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভাল হওয়া সত্ত্বেও এনএসজিতে ভারতের অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে তাদের অবস্থান ভিন্ন। এনপিটি সই না করা পর্যন্ত ভারতকে এনএসজি সদস্য হতে দেওয়ার পক্ষপাতী নয় ব্রাজিল।
সুইৎজারল্যান্ড : প্রথমে সুইৎজারল্যান্ড ভারতের বিরোধিতা করলেও, নরেন্দ্র মোদি সে দেশে সফর করার পর, তারা মত বদলে ফেলেছিল। ভারতকে সমর্থন করবে বলেই ঘোষণা করেছিল। সোলে বৈঠক চলাকালীন আবার অবস্থান বদলে ভারতের বিরোধিতা করেছে তারা।
অস্ট্রিয়া : ভারতের এনএসজি অন্তর্ভুক্তির দাবির বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সরব এই দেশ। সোলের বৈঠকেও তারা সেই অবস্থানেই অনড় থেকেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা : ভারতের সঙ্গে এই দেশের সম্পর্ক বেশ ভাল। কিন্তু এনএসজির প্রশ্নে তারা আশ্চর্য রকম ভাবে ভারতের বিরোধিতা করছে।
আয়ারল্যান্ড: এনপিটি সই না করলে ভারতকে এনএসজিতে ঢুকতে দেওয়া উচিত নয়। বলেছিল আয়ারল্যান্ড। ভারতের পরমাণু নিরাপত্তা রেকর্ডের কথা মাথায় রেখে পরে এই দেশ ভারতের পক্ষেই মত দেয়। কিন্তু কোনও কোনও সূত্র বলছে, আয়ারল্যান্ড বৈঠকে ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করেছে।
তুরস্ক : ভারতকে এনএসজিতে ঢুকতে দিতে চাইছিল না এই ইউরেশীয় দেশ। আমেরিকার সক্রিয়তায় তাদের সুর নরম হয়। এনএসজি বৈঠকে তারা ভারতের পক্ষে মত দিয়েছে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
নিউজিল্যান্ড : এই দেশও প্রথম থেকেই ভারতের এনএসজি-ভুক্তির বিরুদ্ধে ছিল। আমেরিকা চাপ বাড়ানোর পর তারা বিরোধিতার পথ থেকে সরে এসেছে। তবে সোলের বৈঠকে নিউজিল্যান্ডের ভূমিকা কী ছিল তা স্পষ্ট নয়।
২৫ জুন ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস