আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবের মক্কা থেকে তিন মাইল দুরে মিনাতে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ হাজিরা হজ্জের সময় শয়তানের উদ্দেশ্যে প্রতীকী রীতি অনুযায়ী পাথর ছুড়তে যান।
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় এই স্থানটিতেই সবচেয়ে বেশি হাজিদের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালেও জামারাতে ২০৩ ও ২২৩ নম্বর সড়কের মোড়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর পরেই প্রশ্ন উঠছে কেন বার বার এক জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটছে।
হজ্জের রীতির মধ্যে এই একটি সময় নির্দিষ্ট স্থানে হাজিদের পাথর নিক্ষেপ করতে হয়।
প্রায় পাঁচতলা উঁচু এই জায়গায় উঠে পাথর নিক্ষেপ করে আবার হেটে ঐ স্থান ত্যাগ করতে হয়।
সৌদি আরবের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ২০৩ ও ২২৩ নম্বর সড়কের সংযোগ স্থলে মানুষের চাপ বেড়ে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
তবে এর আগেও ২০০৬ সালে মিনায় পাথর ছোড়ার সময় ৩৬৪ জন নিহত হন।
যেহেতু সব হাজিদের এখানে আসতে হয় সেজন্য সৌদি কর্তৃপক্ষ অবকাঠামো উন্নতি করেছে।
তার পরেও নির্দিষ্ট একটি স্থানে একই সময়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের চাপ এবং তাড়াহুড়া করতে যেয়েই এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন সৌদি আরবে যারা নিয়মিত এই স্থানটি পরিদর্শন করেন তারা।
এর আগে হজ্জের সময়ের দুর্ঘটনা
১৯৮৭: ইরানপন্থীদের বিক্ষোভে সৌদি আরব সরকারের সাথে সংঘর্ষে ৪০০ জন মারা যান।
১৯৯০: ১,৪২৬ জন হাজি সুড়ঙ্গ পথে যাওয়ার সময় পদদলিত হয়ে মারা যান।
১৯৯৪: পদদলিত হয়ে মারা যান ২৭০ জন।
১৯৯৭: ৩৪৩ জন নিহত হন, আহত হন এক হাজার পাঁচশ জন।
২০০৬: ৩৬৪ জন নিহত হন মিনায় পাথর ছোঁড়ার সময়।
২০১৫: এখন পর্যন্ত ৭১৭ জন। -বিবিসি
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন