আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শুরু হয়েছে মিনায় পদদলিত মৃতদেহ সনাক্তকরণ কাজ। শুক্রবার রাত থেকেই শুরু হয় এই সনাক্তকরণ কাজ।
বৃহস্পতিবারের হজের তুতীয় দিনে মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের সময় পদপিষ্ট হয়ে ৭১৭ জন হাজি প্রাণ হারান। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৮৬৩ হাজি। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বিভিন্ন দেশের শত শত মানুষ।
আরব নিউজ বলছে, বৃহস্পতিবার সারা রাতে ধরে মক্কার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে মৃতদেহগুলো মিনার মুয়াইসাম এলাকার মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গোসল শেষে মৃতদেহগুলোর ছবি তোলা হয়। পাশাপাশি লাসের পরিচয় সনাক্ত করার জন্য তাদের আঙ্গুলের ছাপও নেয়া হয়। এরপর ছবি ও আঙ্গুলের ছাপসমেত নিহতদের পরিচয় মর্গের দেয়ালে টানিয়ে দেয়া হয়। হজযাত্রীরা বিমানবন্দরে নামার পর তাদের আঙুলের যে ছাপ ইমিগ্রেশন দপ্তর সংগ্রহ করেছিল, তার সঙ্গে লাশের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে দেখা হবে।
সৌদি ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, মর্গের দেয়ালে ৫শ মৃতদেহের পরিচয় টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইরান ও মিশরসহ বিভিন্ন দেশের হজ প্রতিনিধিরা নিহতদের সনাক্ত করতে ওই মর্গে ছুটে যান।
মিনা দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে কোন দেশের কতজন আছেন সৌদি সরকার এখনো সে তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে বিভিন্ন দেশ তাদের নিহত হাজিদের সংখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে। ইরান দাবি করেছে, মিনা দুর্ঘটনায় তাদের দেশের ১৩১ জন নিহত হয়েছে। ৮৭ নাগরিকের নিহত হওয়ার কথা বলেছে মরক্কো। এছাড়া ভারত ১৮, মিশর ১৪, পাকিস্তানের ১০, বাংলাদেশ ৫ তুরস্ক ৪ এবং আলজেরিয়া, কেনিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার তিনজন করে নিহত হয়েছে বলে দেশগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মিনা দুর্ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন শত শত হাজি। এ ঘটনায় প্রায় ৩শ পাকিস্তানী নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পাকিস্তানের এক হজ প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরব নিউজকে জানিয়েছেন, নিখোঁজদের প্রকৃতসংখ্যা ছিল ৪৩২। শুক্রবার এদের মধ্যে ১শ জনের খোঁজ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ২শ বাংলাদেশি।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন