নিউজ ডেস্ক : ব্রেক্সিট বিরোধী মিছিলের সারি লম্বা হচ্ছে দিন দিন। তিন দিন আগে ছিল কয়েক হাজার। বৃহস্পতিবার লাখ ছাড়িয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে হাজার হাজার মানুষ স্লোগান দিচ্ছে, গান গাইছে। বলছে মানি না, মানি না এ রায়। প্রায় এক সপ্তাহ আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যারা ডিভোর্স চেয়েছিলেন, তারাও এ মিছিলে শামিল হয়েছেন। প্রথম দিকে দোদুল্যমানতা ছিল।
ব্রেক্সিট পরবর্তী পরিস্থিতি জনগণকে রাস্তায় নামিয়েছে। জনরায়কে সরকারও মান্যতা দিয়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবারের জনস্রোতে যোগ দিয়েছিলেন বিজনেস মিনিস্টার আন্না সবরি। তিনি জনতার উদ্দেশ্যে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন।
বলেন, আমি ছিলাম লিভের পক্ষে। কিন্তু আমার ৮৪ বছর বয়সী মা এবং দুই সন্তান এই ফলাফলে ক্ষুব্ধ। তার এ বক্তব্যের পরে ব্রেক্সিট বিরোধী আওয়াজ আরও বেড়ে যায়। এই বিক্ষোভের আয়োজক স্যোসাল মিডিয়া, রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্রতো আছেই। বৃটিশ পার্লামেন্টের সামনে শুধু বিক্ষোভ হয়নি, বিক্ষোভ হয়েছে ইংল্যান্ডের আরো অনেক শহরেও। ব্রেক্সিট প্রধানমন্ত্রীকে গদি ছাড়তে বাধ্য করেছে, বিরোধী নেতার গদি টলটলায়মান।
ট্রাফালগার স্কয়ারের সামনে বিক্ষোভকারীরা বলেছে, তিনশ ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড কোথায়। লিভের প্রচারণাকারীরা বলেছিল, প্রতি সপ্তাহে লন্ডন থেকে তিনশ ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড যায় ব্রাসেলসে। এখন তারা তা অস্বীকার করছে। বলছে, তারা এমন কথা বলেনি। বেশিরভাগ মানুষ তাদের কথায় সায় দিয়েছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নিষ্ফল উপস্থিতি জনগণকে আরও আবেগ আপ্লুত করেছে। কারণ ৪৩ বছরে কোন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর এমন নিষ্ফল উপস্থিতি ছিল না।
গণভোট নিয়ে কী হবে, এ রায় কী পরিবর্তন হবে? ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এ সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন। কিন্তু জনস্রোত যেদিকে যাচ্ছে তা কি আরব বসন্তের মতো ইংরেজ বসন্তে রূপ নেবে? কেউ কেউ অবশ্য এমনটাই হতাশ যে, তারা মনে করেন গুগলের সার্চ ইঞ্জিনও বৃটিশ রাজনীতির কোন চটজলদি সমাধান দিতে পারবে না। -এমজমিন
৩০ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম