বুধবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০১:০১:৩১

বাংলাদেশী হিন্দুদের ভারতে থাকার অনুমতি

বাংলাদেশী হিন্দুদের ভারতে থাকার অনুমতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে ভারতে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু নাগরিকদের সে দেশে থাকার অনুমতি দিলো ভারত সরকার। সোমবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক আদেশ জারি করে বলা হয়েছে, হিন্দুদের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে চলে আসা শিখ, খ্রিস্টান, জৈন, পারসিসহ সে দেশ দুটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষও এবার থেকে ভারতে থাকার অনুমতি পাবেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, '২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যারা ভারতে এসেছেন সে ক্ষেত্রে তাদের কাছে যদি বৈধ কোনো কাগজপত্র, পাসপোর্ট না থাকে কিংবা যাদের অনুমতিপত্রের মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে তারাও এখন আইনগতভাবে ভারতে থাকতে পারবেন। এর জন্য তারা দেশটির ১৯২০ সালের পাসপোর্ট আইন কিংবা ১৯৪৬ সালের ফরেনার্স অ্যাক্ট লঙ্ঘনের দায়ে পড়বেন না।

অর্থাৎ তারা অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গণ্য হবেন না এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। গত সপ্তাহেই দিলি্লতে বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর মধ্যে তিন দিনব্যাপী বৈঠকে বাঙালি উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব প্রদানের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিল আরএসএস। বৈঠকে সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে আসা হিন্দুরা অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছেন। শিগগির তাদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি কার্যকর হোক।

সম্ভবত সংঘের চাপে পড়েই মোদি সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা ছাড়া আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই বিহারে বিধানসভার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। তাই সে নির্বাচনে ফায়দা তোলার বিষয়টিও মাথায় রেখেই নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের আওতায় থেকে বাঁচতেই কিছুটা আগেভাগেই হিন্দুসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষদের এ দেশে থাকার অনুমতি প্রদান করল বলে মনে করছে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহল। তা ছাড়া বিহারের পরপরই আগামী বছরই পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে বিধানসভার নির্বাচন।

গত লোকসভা নির্বাচনী প্রচারণায় এ দুই রাজ্যে এসে অনুপ্রবেশ এবং উদ্বাস্তু ইস্যুটিকে উসকে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এ দুই রাজ্যেই হিন্দু শরণার্থীদের সংখ্যা বেশি। তাই সব মিলিয়ে মোদি সরকারের এ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এ ঘোষণার ফলে দেশটিতে এতদিন যারা পরিচয়হীন হিসেবে বসবাস করতেন তারা নতুন করে নিজের পরিচয় দিতে পারবেন।

৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে