আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্কুলে ছেলেদের সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিতে রাজি না হওয়ায় দুই মুসলিম তরুণীকে নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকার করেছে সুইজারল্যান্ড। বাসেল শহর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্কুলের পাঠ্যক্রম মেনে না নেয়ায় ১২ এবং ১৪ বছরের ওই দুই তরুণীকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে না।
মার্কিন গণমাধ্যম ইউএসএ টুডে জানায়, ওই দুই মুসলিম তরুণী স্কুলের সাঁতার শেখার ক্লাসে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়। কারণ সেখানে ছেলেরা উপস্থিত থাকবে তাই।
তাদের ধর্ম ছেলেদের সঙ্গে এ ধরনের মেলামেশার অনুমোদন দেয় না। এ কারণে সুইচ পাসপোর্ট পেতে তাদের আবেদন আর বিবেচনায় নেয়া হবে না।
সুইজারল্যান্ডের অন্য এক জেলায় অপর দুই তরুণীর বাবা তাদের মেয়েদের ছেলেদের সঙ্গে সাঁতার কাটতে না দেয়ায় ওই দুই বাবাকে চার হাজার ডলার জরিমানা করে জেলা আদালত।
সুইচ নাগরিকত্ব বিষয়ক কমিটির সভাপতি স্টিফেন ওয়েরলি জানান, নাগরিকত্ব পাওয়ার শর্ত যারা পূর্ণ করবে না, আইন মানবে না তাদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে না। জরিমানা করা ওই দুই বাবার একজনের বড় মেয়েকে স্কুলে বোরকা পরতে দিয়ে তিনি ঝামেলায় পড়েছিলেন।
অবশেষে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বিবেচনা করে মেয়েটিকে স্কুলে বোরকা পরার অধিকার দিয়েছিল সুইজারল্যান্ডের শীর্ষ আদালত। কোরআন এবং হাদিসে মুসলিম নারী এবং পুরুষের সাক্ষাৎ ও পারস্পারিক যোগাযোগের ব্যাপারে নির্দিষ্ট শর্ত দেয়া আছে।
যেসব পুরুষকে বিয়ে করা জায়েজ, বিবাহ ব্যতীত তাদের সঙ্গে দেখা করা জায়েজ নয়। পোশাকের ক্ষেত্রেও নারীদের নির্দিষ্ট পোশাক পরার জন্য বলা হয়েছে।
এর আগে ধর্মীয় বিধিনিষেধের কারণে নারী শিক্ষকের সঙ্গে করমর্দন করতে রাজি না হওয়ায় দুই মুসলিম শিক্ষার্থীর বাবার নাগরিকত্ব সাময়িক স্থগিত করেছিল সুইচ কর্তৃপক্ষ।
১ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম